নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় মটর সাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রায়ই সাতক্ষীরা শহরের কোন না কোন স্থান থেকে মটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। গত কয়েকদিনে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, মিস্ত্রি, ব্যবসায়ীসহ অনেকেই মটরসাইকেল হারিয়েছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জজকোর্ট চত্বরে মটরসাইকেল রেখে এজি অফিসে প্রয়োজনে যান কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দামারপোতা গ্রামের অজিয়ার রহমান গাইনের পুত্র। গত ৫ জানুয়ারি তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান সংগ্রাম হাসপাতালের সামনে নিজ বাড়ির নিচ তলা থেকে তার ব্যহৃত ফিজার মটর সাইকেল চুরি হয়।
ওইদিন দুপুরে তিনি বাড়ির নিচতলায় মটরসাইকেল রেখে ছিলেন। কিছুক্ষন পরে এসে আর মটরসাইকেল খুজে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ১০ জানুয়ারি সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল তেতুলতলা এলাকা থেকে রাজমিস্ত্রি আনারুল ইসলাম একটি ডিসকোভার ১২৫ মটরসাইকেল চুরি হয়। মটরসাইকেলের মালিক রাস্তায় মটরসাইকেল রেখে কাজ করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত চোর গাড়ীটি চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মটরসাইকেল চুরির বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা শহরের এখন মটরসাইকেল চোর আতংক বিরাজ করছে। কেউ মটরসাইকেল রেখে নিশ্চিন্তে প্রয়োজন মিটাতে পারছেন না। সব সময় উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটাচ্ছেন মটরসাইকেল মালিকরা। এদিকে সম্প্রতি সাতক্ষীরা শহর জুড়ে গড়ে ওঠেছে পুরাতন মটরসাইকেল শো রুম। এসব পুরাতন শো রুমদের বিষয়ে খোজ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকে। সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও ইটাগাছা গ্রামের কবিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি শহরের ব্যঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে পুরাতন মটরসাইকেল শোরুম। এগুলোর বিষয়ে খোজ নেওয়া জরুরি। সাতক্ষীরা সদর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির বলেন, মটর সাইকেল চুরির সাথে একটি সিন্ডিগেট রয়েছে। অন্য কোন জেলা থেকে এসব সংঘবদ্ধ চোরেরা অপরাধ সংঘঠিত করে চলে যায়। আমি যেহেতু নতুন আসছি। বিষয়টি অবশ্যই দেখবো।