সাতক্ষীরা

কলারোয়ার এতিম ভাইজির সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ভাংচুরের অভিযোগ

By daily satkhira

January 18, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়ায় এতিম ভাইজির সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে চাচা এবং চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে ভুক্তভোগী কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া গ্রামের মৃত. আবেদুল ইসলামের এতিম কন্যা আনিকা ইসলাম দাবি করেছেন। ভুক্তভোগী আনিকা ইসলাম জানান, মাত্র ৪ বছর বয়সেই পিতাকে হারান তিনি। এ কারনে পিতার সমুদয় সম্পত্তি তার আপন চাচা কবিরুল এবং চাচাতো ভাই মোমিনুর ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম দেখাশোনা করার নাম করে ভোগদখল করে আসছিলেন। কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়া বাজারে তার পিতার নিজের নামীয় ৩টি দোকানঘর ভোগদখল করতো আনিকা। সম্প্রতি আনিকা ইসলামের বিবাহের পর থেকে পিতার সম্পত্তির ভাগ তাকে না দিয়ে অবৈধভাবে ভোগদখলের বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে চাচা কবিরুল এবং চাচাতো ভাইয়েরা। এমনকি ওই তিনটি দোকানঘরও দখলের পায়তারা শুরু করে। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও কোন সমাধান হয়নি। এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ২১ তারিখে চাচা কবিরুল তার পুত্র মোমিনুর ইসলাম, আমিনুল, আনছার আলীর পুত্র শাহানুর হোসেন,মৃত. মজিদ আলীর পুত্র আলিম, ফজর আলীর পুত্র নাজমুল, ওয়াছেদ দালালের পুত্র মজি, কমলের পুত্র নুর মোহাম্মদসহ কতিপয় ব্যক্তি লাঙ্গলঝাড়া বাজারের তিনটি দোকান থেকে ভাড়াটিয়াদের নামিয়ে দিয়ে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে সেখানে গেলে আনিকা ইসলাম কে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ সহ খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয় চাচা কবিরুল ও তার সহযোগিরা। ভুক্তভোগী আনিকা ইসলাম আরো বলেন, এতদিনপর যখই পিতার সম্পত্তির ভাগ চেয়েছি তখনই চাচারো সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। প্রয়াত ভাইয়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগদখলের উদ্দেশ্যেই চাচা এধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তার স্বামী, মা সহ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন ওই চাচারা। তিনি এতিমের সম্পত্তি ফাঁকি দেওয়ার চেস্টাকারী চাচার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে অভিযোগ চাচা কবিরুল ইসলাম ভাইজির সম্পত্তি দখল চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি তার ভাগের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে চাই। কিন্তু আনিকা সব সম্পত্তি সামনে থেকে নিতে চায়। যে কারনে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে কলারোয়া থানাসহ বিভিন্ন স্থানে বসাবসিও হয়েছে। আনিকা কারো কথা মানে না। তাকে সামনে থেকেই দিতে হবে। যে কারণে সমাধান সম্ভব হয়নি। তবে কার অনুমতি নিয়ে দোকান ভেঙেছেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি কবিরুল ইসলাম।