কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : শপথ গ্রহণের পর দায়িত্বভার বুঝে না পাওয়ায় পরিষদ চত্বরে অস্হায়ী কার্যালয় বানিয়ে অফিস করছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে দেখা যায়, মাঠে বিয়ে বাড়ির আকৃতিতে প্যান্ডেল নির্মাণ করে সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে প্রথম কর্মদিবসের অফিস করছেন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মেম্বররা। এ সময় সাংবাদিকদের সামনে চেয়ারম্যানসহ পরিষদবর্গ অভিযোগ করে বলেন, ভিতরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, নাগরিক সেবামূলক কাজকর্ম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সাবেক চেয়ারম্যান পরিষদের চাবি খুলে দিচ্ছেনা।
সেই সাথে দায়িত্বভারও বুঝে পাচ্ছিনা। এতে করে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারবৃন্দ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মথুরেশপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে অফিস করছেন। এসময় আগত সেবাগ্রহীতাদের সেবা দিচ্ছেন। সেখানে ইউপি সচিব নাসরিন আক্তারসহ সকল সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। এসময় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম বলেন, শপথ নিয়েছি কিন্তু এখনও দায়িত্বভার বুঝে পায়নি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন পরিষদের জিনিসপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে দেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত চেয়ারম্যান পরিষদ ক্যাম্পাসের সোলার স্ট্রিট লাইট ল্যাম্প পোস্ট লাইট, হ্যান্ড মাইক, আলমারি সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র খুলে বাড়িতে নিয়ে গেছে। তাছাড়া পরিষদের ভিতরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অনুপোযোগী পরিবেশে পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত হবে এটা উচিৎ নয়। মথুরেশপুর ইউনিয়নের দফাদার আব্দুর রব ছট্টু, গ্রাম পুলিশ আব্দুল কাদের, ফজলুল করিমসহ অন্যান্য গ্রাম পুলিশরা বলেন,
বিভিন্ন সময়ে এনজিও থেকে পরিষদে দুর্যোগকালীন ব্যবহারের জন্য ১৩টি হ্যান্ড মাইক, ১টি ইলেকট্রনিক হ্যান্ড করাত, রেইনকোট, টর্চ লাইট, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১৫টি স্প্রে মেশিনের কোনো খোঁজ নেই। পরিষদের সকল জিনিসপত্র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের হাতে বুঝিয়ে দিতে হবে।