কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের বিভিন্ন অপকর্ম, চাঁদাবাজি ও গ্যাংবাজদের মুল হোতা লক্ষণ ঘোষের বিরুদ্ধে অবশেষে চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানায় এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার তারালী ইউনিয়নের আমিয়ান গ্রামে এসিআই এগ্রোলিঙ্ক কোঃ লিঃ সামনে রফিকুলের সম্পত্তিতে দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় দোকানঘর রয়েছে। ঐ দোকানের দিকে লক্ষন ঘোষের নজর পড়ায় হয়রানীসহ দোকানঘর জবর দখলের হুমকী দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসের ২২ তারিখে লক্ষণ ঘোষসহ তার সহযোগরীরা দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া আমজেদ আলীর ছেলে আঃ জব্বারকে দোকানঘর ছেড়ে চলে যেতে বলে। এবং দোকানঘর না ছাড়লে ১ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে হুমকী ধমকী দিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি জানার পর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহাদাৎ হোসেনসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ থানা পুলিশকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে অবহিত করেন। এ ঘটনায় লক্ষণ ও তার গ্যাংরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। ২৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় ঐ গং আবারও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দোকানের সামনে যেয়ে চাঁদার টাকা না দিলে দোকানঘর দখল ও খুন জখমের হুমকী দিতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রাণের ভয়ে ব্যবসায়ি আব্দুর জব্বার পালিয়ে যায়। ঐ রাতেই দোকান ঘরের মালিক রবিউল ইসলাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অবশেষে ৩০ জানুয়ারি থানায় চাঁদাবাজির মামলা রেকর্ড করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, লক্ষণ ঘোষ উপজেলা যুব-লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদপদবী কাজে লাগিয়ে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও গ্যাংবাজির মত অপকর্মে লিপ্ত ছিল। তাছাড়াও বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষদের পুলিশের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম মোস্তফা জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় লক্ষনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনার পূর্বে লক্ষণ ঘোষসহ তার সহযোগিরা ছিনতাই করার সময় উপজেলার সার্জিক্যাল ক্লিনিকের সামনে থেকে পুলিশ তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করায় কয়েক মাস কারাগারে ছিল বলে জানান গেছে। গ্যাংবাজ লক্ষণের বিরুদ্ধে মামলার খবর শুনে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড, চৌরাস্তার মোড়, আমিয়ান মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করার খবর পাওয়া গেছে।