আন্তর্জাতিক

কানাডা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে উগ্রপন্থী সালমান

By Daily Satkhira

June 06, 2017

কানাডা প্রবাসী উগ্রপন্থী সালমান হোসাইনের বিরুদ্ধে সেখানকার পুলিশ এবং ইন্টারপোলের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ন্যাশনাল পোস্ট’। ন্যাশনাল পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান পালিয়ে বেড়ালেও তাকে খুঁজে বের করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। কেননা এক সময় টরেন্টোতে বসবাস করা ৩২ বছর বয়সী সালমান হোসাইনকে গত রোববার ঢাকার গুলশানের একটি কফিশপের সামনে দেখা গেছে। ‘রূপালী রঙের একটি টয়োটা করোলায় চড়ে তিনি ওই কফিশপে গিয়েছিলেন। সেখানে তার একটি ছবিও তুলেছেন এক আলোকচিত্রী। ওই আলোকচিত্রী সালমানের আরও কিছু সাম্প্রতিক ছবি ন্যাশনাল পোস্টকে দিয়েছেন, যেখানে বনানীর একটি অভিজাত হোটেল ও উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকাতেও তাকে দেখা গেছে।’ এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেলী ফেরদৌস বলেন, এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত তার কাছে কোন তথ্য নাই। ইন্টারপোল সেকশন থেকে জেনে বুধবার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালমানই প্রথম ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে কানাডায় প্রথমবারের মত গণহত্যার উস্কানি দিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১০ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কিছুদিন আগেই সালমান টরেন্টো থেকে লাপাত্তা হন। পরে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারি করা হয়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৬ বছর পর্যন্ত জেল খাটতে হতে পারে বলে ন্যাশনাল পোস্ট জানিয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, অভিযোগ দায়েরের কিছুদিন আগে সালমান কানাডা ছেড়ে গেলেও ইন্টারনেটে নিজের উপস্থিতির প্রমাণ রেখেছেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওতে একটি ছাগল জবাই করার সময় তাকে বাংলায় কথা বলতে শোনা যায়। ওই ভিডিওতে বলা হয়, ‘বিশ্বের যেখানেই ইহুদি, তাদের সহযোগী বা দাসদের পাওয়া যাবে, সেখানেই তাদের এভাবে নিধন করা দরকার। দায়েশ (আইএস), তোমরা কি ইসরাইল ও ইহুদিদের প্রতি তোমাদের দায়িত্বের কথা ভুলে গেছো?’ এর আগে ইহুদিদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সালমানের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। তখন তিনি ইহুদিদের গণহারে হত্যার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য প্রচার শুরু করেন।