আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক মাছুম বিল্লাহ্সহ চারজনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেছে। স্কুলছাত্রী মেয়েটি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী আশাশুনি উপজেলার দরগাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও দরগাপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা ও মা ইটভাটা শ্রমিক। এদিকে, ধর্ষক মাছুম বিল্লাহ্ তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মোমতাজ গাইনের ছেলে। সে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অপর তিন সহযোগী দরগাপুর গ্রামের সাহেদ বাবু, রশিদ ও শাহিনুর রহমান। নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী জানায়, ২০১৯ সাল থেকে মাছুম বিল্লাহ্ বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার বাবা-মা ইটভাটা শ্রমিকের কাজ করায় আমাদের পারিবারিক অবস্থা খারাপ। অপরদিকে, মাছুম বিল্লাহ্’র বাবার ফার্মেসীর দোকান রয়েছে। তাই সবদিক চিন্তা ভাবনা করে পারিবারিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সম্পর্কটি স্থায়ী হবে না ভেবে আমি তার সাথে সম্পর্কটি ছিন্ন করার চিন্তা করে তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী আরও জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে আমার বাবা-মা ইটভাটায় কাজ করতে যাওয়ায় বাড়িতে কেউ না থাকা সুযোগে মাছুম বিল্লাহ্ আমাদের বাড়িতে আসে। এরপর সে আমাদের ঘরের মধ্যে ঢুকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এরপর একে একে ঘরের মধ্যে তার সহযোগী সাহেদ বাবু, রশিদ ও শাহিনুর প্রবেশ করে। তারাও এ সময় আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমি এতে বাঁধা দিলে তারা আমাকে চড়,কিল, ঘুষিসহ কামড়ে দেয় শরীরের বিভিন্নস্থানে। একপর্যায়ে আমার আতœচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী আরও জানায়, গত ৬ মাস আগেও আমাকে শেষ বারের মত দেখা করার কথা জানালে আমি শ্রীমন্তকাটি মাছুম বিল্লাহ্’র চাচার বাড়ীতে তার সাথে দেখা করতে যায়। সেখানেও সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। আমি ওই সময় কাউকে বলার সাহস পায়নি। এমনকি আমার স্কুলে যেতেও বাঁধা সৃষ্টি করে আসছিল। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে ভয় দেখিয়ে আমার সঙ্গে সে অনৈতিক কাজ করেছে। আমার মাকে মা ডাকতো মাছুম বিল্লাহ্। আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে আমি তার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে ধর্ষক মাছুম বিল্ল্হ’্র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল রহমান বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দিয়েছেন। মামলায় আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।##