নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতির বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরকারি কর্ম দিবস থেকে এতদন্ত কাজশুরু হয়েছে। তদন্ত করছেন সাতক্ষীরার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস।
টানা দুই বার নির্বাচিত সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী শহরের কামালনগর গ্রামের মৃত. আবুল কাশেমের পুত্র। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য।
সাতক্ষীরার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সরজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ঠ মতামত সহ জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য আমি কাজ করছি। কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে,এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,সময় সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। তবে যত তাড়াতাড়ি পারা যায়, প্রতিবেদন পাঠানো হবে। ০৪ নংওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান বলেন,কমপক্ষে ১০টি খাতে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে কারো সাথে পরামর্শ না করে গরীব মানুষদের আর্থিক সাহায্য বাবদ ১ কোটি ৮ লাখটাকা আত্মসাৎ,ব্যক্তিস্বার্থে ৮০ লাখ টাকার পানির বিল মওকুফ,ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পৌরসভার টাকায় গাড়ীর তেল ক্রয়সহ প্রমোদ ভ্রমণ, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পৌর সভার আর্থিক ক্ষতিসাধন,পৌরসভার বিভিন্ন হাট-বাজার বিধি ভঙ্গ করে ইজারা প্রদান এবং অনৈতিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণের নিমিত্তে বাজেট ব্যতীত টেন্ডার প্রদান উল্লেখযোগ্য।
অভিযোগের লিংক -: https://lgd.gov.bd/sites/default/files/files/lgd.portal.gov.bd/divisional_noc/982dffde_2fe6_4b21_805e_b0005433f490/2022-01-25-09-34-d7e7956e6072eca9a4599d4ac68f679f.pdf
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, আমার বিরু্েদ্ধ আনা এসব অভিযোগ ষড়যন্ত্রেরই নামান্তর। এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী নাজিমউদ্দীন বলেন, পৌর মেয়র অনিয়ম করেছেন কিনা সেটি তদন্তে প্রমানিত হবে। প্রসঙ্গত,সাতক্ষীরা পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন কাউন্সিলর গত ১৩ জানুয়ারী মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতির বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে অভিযোগ উত্থাপন করেন। অভিযোগ প্রাপ্তি পর গত ২৪ জানুয়ারী ২০২২ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সরজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ঠ মতামতসহ জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক,সাতক্ষীরাকে অনুরোধ জানানো হয়। পরবর্তীতে তদন্তভার অর্পণ করা হয় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে।