নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১১টি পদে ১৫টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার এ্যাড. কুন্ডু তপন কুমার বুধবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৫টি মনোনয়ন জমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সভাপতি পদে দুই জন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুই জন, সহ-সভাপতি পদে একজন, যুগ্ম সম্পাদক পদে দুই জন, কোষাধ্যক্ষ পদে একজন, সহ-সম্পাদক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক) পদে দুই জন, সহ-সম্পাদিকা (মহিলা বিষয়ক) পদে একজন, সহ-সম্পাদক(লাইব্রেরী বিষয়ক) পদে একজন এবং সদস্য পদে তিনজনের মনোনয়ন জমা পড়েছে।
সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাবেক সভাপতি এ্যাড. শাহ আলম এবং এ্যাড. রবিউল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি পদে এ্যাড. আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম এবং এ্যাড. শেখ এমদাদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক পদে এ্যাড. মো: সাইদুর রহমান ও এ্যাড. মো: কামরুজ্জামান ভুট্টো, কোষাধ্যক্ষ পদে এ্যাড. আমিনুর রহমান চঞ্চল,
সহকারী সম্পাদক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক) পদে এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম-৫ ও এ্যাড সানজিদা খাতুন, সহ-সম্পাদিকা(মহিলা বিষয়ক) পদে এ্যাড. মোছা: ফারজানা জাহান(টুকটুকি), সহ-সম্পাদক (লাইব্রেরী বিষয়ক) আ, ক, ম, শামসুজ্জোহা (খোকন) এবং সদস্য যথাক্রমে এ্যাড. রফিকুল ইসলাম (রফিক), এড.সাহেদুজ্জামান সাহেদ, সাঈদুজ্জামান জিকো।
ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার এ্যাড, কুন্ডু তপন কুমার জানান,সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে আটজন পদত্যাগ করায় গঠণতন্ত্র অনুযায়ি ওই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। অথচ সাবেক কমিটির সভাপতি অ্যাড. আবুল হোসেন (২) ও সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান উল্লাহ সবুজ এক সভা ডেকে গঠণতন্ত্র বহির্ভুতভাবে ৩১ জানুয়ারি মনগড়া কমিটি গঠণ করে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রবীন আইনজীবী এসএম হায়দার আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটি ভেঙে দেওয়ায় জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ তাকে (তপন) মোবাইল ফোনে হুমকি দেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অ্যাড. শাহানাজ পারেভিন মিলি, অ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলী, অ্যাড. মিজানুর রহমান বাপ্পি, অ্যাড. এবিএম সেলিম, এ্যাড. নুরুল আমিনসহ কয়েকজন তার নির্বাচনী কার্যালয়ের একটি তালা ভেঙে অপরটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. আমিনুর রহমান চঞ্চল বাদি হয়ে অবৈধ নির্বাচন কমিশনারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই অবৈধ কমিটির কার্যত্রমের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত বিচারক যুগ্ম জজ প্রথম আদালতের বিচারক বিবাদীদের দু’দিনের মধ্যে কারণ দর্শাণোর নির্দেশ দেন। অ্যাড. কুণ্ডু তপন কুমার আরো জানান,
২০২২ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পর্কিত তপশীল ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ি ৯ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন জমা দেওয়ার ধার্য দিন ছিলো। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আবুল হোসেন-সবুজ কমিটির গঠিত অবৈধ নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. এসএম হায়দার আলী, সদস্য অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি, অ্যাড, মিজানুর রহমান বাপ্পি ছাড়াও অ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলী ও অ্যাড. নিজামউদ্দিনসহ কয়েকজন তার অফিসের তালা ভেঙে নির্বাচন কার্যালয় দখল করে নেন। বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশকে অবহিত করে বিকেল চারটা পর্যন্ত আইনজীবী সমিতির নীচে মনোনয়নপত্র জমা নেন।
বুধবার দুপুর দু’টোর দিকে অ্যাড. কুণ্ডু তপন কুমার এর নির্বাচনী কার্যালয়ে যেয়ে দেখা গেছে দরজার তালা ভাঙা। ভিতরে বসে আছেন অ্যাড. এসএম হায়দার আলী, অ্যাড. শাহানাজ পারিভন মিলি, অ্যাড. নিজামউদ্দিন, অ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলী ও অ্যাড. মিজানুরি রহমান বাপ্পি। অ্যাড. কুণ্ডু তপন কুমারের কার্যালয়ের তালা ভাঙা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি ও অ্যাড. মিজানুর রহমান বাপ্পি বলেন, ২৭ জানুয়ারির নিয়ম বহির্ভুতভাবে কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর অ্যাড. কুণ্ডু তপন যেভাবে নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তা সঠিক নয়। তাই তারা নবগঠিত নির্বাচন কমিশনারের পক্ষে ওই ঘর দখলে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর জানান, অভিযোগ পেয়ে আইনজীবী সমিতিতে পুলিশ পাঠানো হয়।