সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার পলাশপোলে ক্রয় সূত্রে নেয়া রেকর্ডীয় সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ

By daily satkhira

February 12, 2022

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল আতিয়া জামে মসজিদের পূর্ব পাশে জনৈক মাওলানা আব্দুল মান্নান কর্তৃক প্রতিপক্ষের ক্রয় সূত্রে নেয়া রেকর্ডীয় সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।

এই জমি নিয়ে ইতিপূর্বে পৌরসভা ও থানায় শালিসি বৈঠকে তিনি কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।

জমির অনলাইন খাঁজনা দেয়ার রশিদ থাকলেও প্রতারণা, জালিয়াতি ও অবৈধ টাকার জোরে মাওলানা আব্দুল মান্নান বিরুদ্ধে অন্যের জমি জবরদখল করে প্রকৃত মালিকদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে তিনি সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে একটি মনগড়া নিউজ প্রকাশ করেছেন যা আদৌ সত্য নয়। জানা যায়, শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত হাছিম উদ্দীন সরদারের পুত্র তোজাম্মেল হক ১৯৯৭৯ ও ১৯৮৪ সালে পলাশপোল, রসুলপুর ও কাশেমপুর মৌজায় এসএ রেকর্ডীয় জমির মালিক জনৈক আব্দুল জব্বারের দুই পুত্র রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল অদুদ এবং তার দুই ভাই আব্দুল গফফার ও আব্দুস সাত্তারের নিকট থেকে ১৫০১, ১১০১৫, ১১০১৬, ১১০৬১, ১১০১৮, ১১১৪৭, ১১০৬২, ১১০৬৭, ৪৯৪৯, ৪৯৪৮ ও ৬০৮৪ সহ মোট ১১ টি দাগে ১২১ শতক জমি ক্রয় করেন।

পরে তিনি এই জমি নিজ নামে রেকর্ড করেন। যার খতিয়ান নং-২৬৫১/৪, হোল্ডিং নং-৪৭৪৯। এই ১২১ শতক জমির মধ্যে তিনি বিভিন্ন সময় মোট ৮৭ শতক জমি বিক্রয় করেন। এরপর ২০০৫ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর বাকী ৩৪ শতক জমি তার ওয়ারেশ মামুনুল হক গং প্রাপ্ত হন। যা তারা তাদের নিজ নামে রেকর্ড করেন এবং হাল নাগাদ খাজনাও পরিশোধ করে ভোগ দখলে রাখেন। যার রেকর্ড খতিয়ান নং-৩৮১৩, হোল্ডিং নং-১৬৫৯। মামুনুল হক জানান, উপরোক্ত দাগের মধ্যে ১১০১৮ দাগে রেকর্ডীয় অপর মালিক আব্দুল বারীর ১৭ শতক জমি রয়েছে। এই জমি ১৯৯৬ সালে তার পুত্র মাজেদ সরদার জনৈক মোস্তফা জামানের কাছে বিক্রয় করে তিনি নিঃশর্ত হন। অথচ ওই একই জমি থেকে ২০০৬ সালে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিম উদ্দিনের পুত্র মাও. আব্দুল মান্নান ও তার ভাইপো অহিদুজ্জামান খালিদ তার কাছ থেকে ১৩.৩৩ শতক জমি ক্রয় করেন। যা তারা পারিবারিক আন রেজিস্ট্রি বন্টন নামা ও জাল রেকর্ড সৃষ্টি মূলে ক্রয় করেন। এরপর তারা সেখানে রাতারাতি পাঁচিল দিয়ে ওই একই দাগে আমাদের ১১.৬৬ শতক জমিসহ মোট ১৪ শতক জমি দখলে নেন। অথচ এই জমি নিয়ে কয়েকদফায় পৌরসভা ও থানায় শালিসি বৈঠকে তারা কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি। এমনকি জিপির মতামতও তারা উপেক্ষা করেছেন। উল্টো এই জমি নিয়ে তারা গত ৬ জানুয়ারী আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আদালত এ মামলায় ৩ ফেব্রয়ারী আমাদের কাগজ পত্র জমাদানের জন্য সমন জারী করেন এবং ওই সময় পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারী করেন। আমরা যথারিতী আমাদের উকিলের মাধ্যমে ওই দিন জবাব দাখিলসহ আমাদের স্বপক্ষের যাবতীয় কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। অথচ তিনি বিষয়টি সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে আমাদের নামে একটি মিথ্যা নিউজ করেছেন। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে ধুরন্ধর মামলাবাজ মাও. আব্দুল মান্নানসহ তার ভাইপো অহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।