নিজস্ব প্রতিনিধি : শহরে টাকার জন্য এক যুবককে ফিল্মী স্টাইলে তুলে নিয়ে কুপিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারাত্বক আহত ওই যুবকের নাম শাহাবুজ্জামান জুয়েল (২৭)। সে সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের মৃত. ছুরমান আলীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে, রোববার বিকেলে। জানা যায়, জুয়েল ব্যাংক লোন শোধ করার জন্য ৬৭ হাজারের কিছু বেশি টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব পরিচিত দক্ষিণ পলাশপোল এ
লাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মিলন হোসেন, সরকারী কলেজ মোড় এলাকার মেজবাহ একটি হাঙ্ক বাইকে তুলে নেয়। সরল বিশ্বাসে জুয়েল তাদের বাইকে চেপে বসে। একপর্যায়ে মিলন-মেজবাহ তার কাছে থাকা ৬৭ হাজার টাকার তথ্য জানতে পারে। তারা জুয়েলকে বাইকের মাঝখানে বসিয়ে পানসি রেস্তোরা সংলগ্ন একটি বাড়ীতে নিয়ে যায়। এরপর তারা অপরিচিত আরো ৪/৫জনকে ডেকে নিয়ে জুয়েলকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। জুয়েলের কাছে থাকা টাকা নেয়ার জন্য তারা তাকে জামাপ্যান্ট খুলে বেল্ট দিয়ে হাত বেধে ইট, চাপাতি ও জিআই পাইপ দিয়ে নির্যাতন করে।
শরীরের প্রায় সমস্ত অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর তারা ঘর থেকে বাইরে এলে কৌশল অবলম্বন করে জুয়েল তার ভাইকে ফোনে বিষয়টি জানায়। এসময় জুয়েলের ভাই তার পরিচিত ডিএসবির একজন সদস্যকে বিষয়টি জানালে তিনি জুয়েলকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী জুয়েলের মাথায় চাপাতির আঘাতসহ শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। আহত জুয়েল বলেন, তাদের সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। হয়তো আমার কাছে থাকা টাকাগুলো নেয়ার জন্য এমন করেছে। আমি মিলন ও মেজবাহকে চিনি, বাকী ৪/৫ জনকে চিনিনা।
এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগী জুয়েল প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।