বিদেশের খবর: ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার বিরোধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে যেকোনো সময় কিয়েভে আগ্রাসন চালাতে পারে মস্কো। এরকম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে তেল ও গ্যাসের পর এবার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে। সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, সোমবার ইউরোপ ও এশিয়ার শেয়ারের পতন হয়েছে। এই সপ্তাহেই ইউক্রেনে হামলা চলাতে পারে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার পর বৈশ্বিক শেয়ারে নেতিবাচক চিত্র দেখা যায়।
ইউরোপের বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই লন্ডনের এফটিসিই ১০০-এর সূচক কমেছে এক দশমিক নয় শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স ৩০-এর তিন দশমিক এক শতাংশ ও ফ্রান্সের সিএসি ৪০-এর তিন দশমিক দুই শতাংশ।
একই চিত্র দেখা গেছে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতেও। জাপানের নিক্কেই ২২৫-এর সূচক কমেছে দুই দশমিক দুই শতাংশ। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির কমেছে এক দশমিক ছয় শতাংশ।
চীনের বাজারগুলোও ছিল নিম্নমুখী। বেঞ্চমার্ক সাংহাই কম্পোজিটের সূচক কমেছে এক শতাংশ। তাছাড়া হংকং এর হ্যাং সেং সূচক এক দশমিক চার শতাংশ কমেছে।
ইউএস ফিউচারেও প্রভাব পড়েছে। নাসাদ নাসডাক, এস অ্যান্ড পি ৫০০, ও ডাও ফিউচার সূচক কমেছে যথাক্রমে শূন্য দশমিক আট শতাংশ,শূন্য দশমিক সাত শতাংশ ও শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সে কারণেই যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন দেশ।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, এস্তোনিয়াসহ ডজনখানেক দেশ তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে কোনো ধরনের আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো।