দেশের খবর: মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পর প্রথমবারের মতো বীর নারী মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের মোট ৬৫৪ জন নারী মুক্তিযোদ্ধাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সম্মাননা দেয়।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদানের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত কণ্ঠযোদ্ধা, নির্যাতিতা, সমরাঙ্গনের যোদ্ধারা এই সম্মাননা পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৫০ বছরে আমরা যে কাজটা করতে পারি নাই মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ সেটিই করেছে। মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজ সম্মাননা পেলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করেছিল ৷ পাকিস্তানি কায়দায় সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছিল। নারীদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের নেত্রী নারীর অধিকার ফিরিয়ে দিতে সবকিছু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম ক্ষমতায় এসে সব জায়গায় মায়ের নাম লেখার বিধান চালু করেছিলেন।’
তালিকাভুক্ত শতভাগ নারী মুক্তিযোদ্ধা সরকারের পক্ষ থেকে ঘর পাবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দর ঘর দেওয়া হবে তাদের। ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এটা করা হবে। যাদের নাম তালিকায় আছেন তারা প্রত্যেকেই বিনা পয়সায় চিকিৎসা ওষুধ পথ্য সব পাবেন। নারী হোক বা পুরুষ, সব মুক্তিযোদ্ধারাই এটা পাবেন।’
সম্মাননা প্রাপ্ত সকল নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ি ও স্যুভেনিয়র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।