বিনোদন

কেমন আছেন সেই শ্রাবন্তী?

By Daily Satkhira

June 07, 2017

শ্রাবন্তী ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা খোরশেদ আলমের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শোবিজের রঙিন দুনিয়া থেকে নিজেকে আড়াল করে নেন এই গুণী অভিনেত্রী। সেই থেকে স্বামীর সাথে বিদেশে বসবাস করেন।

ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমানের ‘রং নম্বর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে নজর কাড়েন। রং নম্বর থেকেই দর্শকের মাঝে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন।

যদিও বা তার আগেই ছোটপর্দায় তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। প্রয়াত প্রণব ভট্টের চিত্রনাট্যে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত এই ছবিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীদের শ্রুতিমধুর গান গুলোও ছড়িয়ে পড়েছিল মুখে মুখে। ‘রং নাম্বার’ ছিল একটি প্রেমের ছবি। প্রজন্মের তরুণ তরুণীর উচ্ছ্বলতা এবং তারুণ্য এই ছবির মূল উপজীব্য। আর এই ছবির তরুণীটিই ছিলেন শ্রাবন্তী।

‘রং নম্বর’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী প্রথম বার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। শ্রাবন্তীর বিপরীতে ছিলেন অভিনেতা রিয়াজ। সুপার ডুপার হিট ছবির এই নায়িকা এখন বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রে। স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন। কিন্তু কিছুটাও কষ্ট আছে। আশিকুজ্জামান টুলু বহু আগে গেয়েছিলেন ‘এই দূর পরবাসে তারা গুণে আকাশে আকাশে। ‘ প্রবাস জীবনে শত সুখের মাঝেও হানা দেয় জন্মভূমির জন্য কিছুটা হাহাকার।

অনেক লাক্সারিয়াস জীবনের মধ্যেও মানুষের মন কাঁদে দেশের জন্য। শ্রাবন্তীর ক্ষেত্রেও ঘটে কিছুটা তাই। ওয়াশিংটনের নিকটবর্তী ম্যারিল্যান্ডের গেইদারল্যান্ডে বসবাস করেন শ্রাবন্তী। রাবিয়া আলম ও আরিশা আলমের মা শ্রাবন্তী। দুই বাচ্চাদের সাথে হেসে খেলা সংসার জীবনটা ভালোই কেটে যায়। কিন্তু প্রবাস জীবনে বাংলা কথা বলার জন্য ছটফট করে ওঠে মন-প্রাণ। বাসায় বাংলাতেই কথা বলেন। কিন্তু মন ভরে না। শ্রাবন্তী সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে বিরক্তি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘উফ ইংলিশ বলতে বলতে মুখ আর মাথা ব্যাথা ধরে গেলো। বাঁচাও…’

এটা যে শ্রাবন্তীর মনোকষ্ট সেটা বোঝা গেল মন্তব্য বাক্সেই। বাংলাদেশি নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী শ্রাবন্তীকে পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘শোন, তুই যতই ইংলিশ কথা বলিস না কেন এট লিস্ট তুই আর খোরশেদ আলম ভাই বাসায় বাচ্চাদের সাথে বাংলা বলবি। এই অভ্যাসটা রাখিস তবে ওরা সুন্দর বাংলা বলতে পারবে। তোকে অনেক মিস করি। ‘ শ্রাবন্তী উত্তরে বলেন, ‘ঠিক বলছ বৌদি, আমরা বাসায় বাংলাতেই কথা বলি। কিন্তু আমার মুখ ব্যাথা হয়ে গেল হাই, হ্যালো হাউ আর ইউ বলতে…।