নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার পাটকেল ঘাটায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে র্যাবের হাতে আটক পুলিশের এসআই ও কাউন্সিলরসহ ৫জনের ২দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম রিমান্ড আবেদনের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। এরআগে গ্রেপ্তার ৫জনের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আবেদন করেন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাটকেলঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবলুর রহমান খাঁন। সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহবুব হোসেন জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেল ঘাটায় ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিছু ব্যক্তি,এমন খবর পেয়ে সাতক্ষীরা ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। তাদের অভিযানে আটক হন যশোর পুলিশ হাসপাতালে কর্তব্যরত উপ-পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন,যশোরের চৌগাছা পৌরসভার কাউন্সিলর মোস্তফা বিশ^াস,যশোর বেজপাড়ার গৌরপদ শীলের ছেলে সুজন শীল,
যশোর কাজীপাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে শরীফুল ইসলাম ও যশোরের চৌগাছা এলাকার মাহবুবুর রহমান। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১টি খেলনা পিস্তল,২টি পিস্তলের কভার,১টি অকিটকি সেট,২টি ডিবি পুলিশের কটি,
২টি হ্যান্ডক্যাপসহ ছিনতাইয়ের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। ওই দিনই আটককৃত ৫ জনকে আসামী করে পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করেন র্যাব,সাতক্ষীরা ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার আ: রহিম। মামলানং ১৪/২২। তদন্তের দায়িত্ব পান পাটকেলঘাটা থানার পাটকেলঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবলুর রহমান খাঁন। পাটকেলঘাটা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবলুর রহমান খাঁন জানান,আদালতের হাজত খানা থেকে রিমান্ডের আসামীদের পাটকেলঘাটা থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে গত শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা হারুণ-অব-রশিদ মহাবিদ্যালয়ের সামনে থেকে র্যাব সদস্যদের হাতে আটকহন যশোরের মোস্তফা বিশ^াস (৪৬),সুজনশীল (২৯),শরীফুল ইসলাম (৪২),মোশারফ হোসেন (৪০) ও মাহবুবুর রহমান (২৭)। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দকরা হয়, ১টি প্রাইভেটকার,১টি মোটর সাইকেল,১টি খেলনা পিস্তল,২টি পিস্তলের কভার,১টি অকিটকি সেট,২টি ডিবিপুলিশের কটি,২টি হ্যান্ডক্যাপ,২টি পুলিশ ফিল্ডক্যাপ,১টি পুলিশ বেল্ট,১টি গোয়েন্দা পুলিশের ভূয়া আইডি কার্ড ও ১টি পিস্তল বাঁধার চেইন। ওই দিন বিকেলে র্যাব-৬ খুলনার প্রধান কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং করেন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করে নি র্যাব। সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা ছিনতাই হচ্ছিল। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এসব অপকর্মে জড়িত থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করে ছিলেন র্যাব কর্মকর্তারা।