নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ার দেয়াড়া গ্রামে অবৈধভাবে জমি দখল করতে একের পর এক মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচারের প্রতিবাদে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে করেন, উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহান সরদারের ছেলে আবু বাক্কার সরদার। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামে তৎকালীন জমিদার তারকশ্বর পাল চোধুরীর অধীনে একই গ্রামের জাহাবক্স সানা জে ত্রল ১০৬ নং দেয়াড়া মৌজার ডি এস ১৭১৬ এস এ ২১২৮ ও ২১২৯ নং খতিয়ান ২০৭ ২০৮ ২০৯ ২১০ নং দাগে ৩ ত্রকর ৩৬ শতক জমি ভোগ দখল করেন। জাহাবক্স সানা তার স্ত্রী আয়মনি বিবি,
দুই পুত্র, আজগর সানা ও আমির সানা, তিন কন্যা দুলালী বিবি মোমেনা খাতুন ও ছবিরণ বিবিকে রেখে মূত্য বরণ করেন। জাহাবক্স সানার মূত্যর পরে তার স্ত্রী আয়মনি বিবি নাবলক দুই পুত্র আজগর ও আমির সানার অভিভাবক হয়ে একই গ্রামের জরিপ খানের পুত্র কেয়ফাতুল্ল্যার নিকট ৩ একর ৩৬ শতক জমি ১৯৩২ সালে বিক্রয় করেন। তিনি উক্ত জমি থেকে ১৯৬৩ সালে আমার নিকট ১একর ৩৩ শতক জমি বিক্রয় করেন। ১৯৬৩ সাল থেকে আমিসহ আমার ওয়ারেশগণ উক্ত জমি ভোগ দখল করছি। ৯০ সালের মাঠ জরিপ রেকর্ড আমাদের পক্ষে রয়েছে। ১৯৬২ সালের এস এ রেকর্ড ভুল বসত আজগর আলী সানার নামে হয়। ওই রেকর্ডটি সংশোধনের জন্য ১৯৬৮ সালে ৯০/৬৮ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আপোষে মিমাংসা করা হয়। এস এ ও বি এস রেকড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। অথচ একই এলাকার মৃত কায়েম শেখের পুত্র এরফান শেখ গং দলিল জাহাবকের পুত্র আমির,
স্ত্রী আয়মনি ও তিন কন্যাকে অস্বীকার করে আসছে। তিনি বলেন, এরফান শেখ ও তার পুত্র আজিজ শেখ ১৯৯৯ সাল থেকে আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। এছাড়া দেয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ২লক্ষ ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে মর্মে একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করিয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, মামলার রায় এবং থানা ও উপজেলা ভূমি অফিসের প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে রয়েছে।
এরফান শেখ কোন জমি পাবে না। মুল মালিক জাহাবকশ সানার ওয়ারেশদের আর কোন জমি নেই। সহকারী জজ আদালতে এরফান শেখের দায়ের করা ১৪৮/২১ নং মামলা আদেশের রায়ও আমাদের পক্ষে রয়েছে। আইন ও আদালতের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় এরফার শেখ গং আমাদের অজান্তে আমাদের দখলীয় সম্পত্তিতে ধানের চারারোপন করেছিল। বর্তমানে ওই জমি আমাদের দখলে রয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় উক্ত এরফান শেখ গং কর্তৃক মিথ্যা মামলায় দায় হতে অব্যহতিসহ তাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##