দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার উপজেলার স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এঘটনায় স্কুলের এক শিক্ষকও জড়িত আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যার কারনে স্কুলের অন্যান্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার পুনরায় শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মেনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন। জানা গেছে, স্কুলটির পূর্বের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ¦ আবুল কাশেম সভাপতি থাকাকালীন সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করেছেন। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবুল কালামকে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে আবুল কাশেম প্রধান শিক্ষককে ১ বছরের মতো সাসপেন্ড করে রাখেন। পরে প্রধান শিক্ষক অন্যায় করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে সভাপতি তাকে মাফ করে দেন। গত বছর ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে আবুল কাশেমের সহধর্মীনি মনিরা বেগম মুন্নীকে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হলে করোনাকালীন সময়ের পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়। তখন প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম যাতে আবুল কাশেম পুনরায় সভাপতি হতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় এক সভাপতি ২ বারের বেশী হতে পারবেনা
এমন নির্দেশনা বোর্ড দিয়েছে বলে অপপ্রচার দিতে থাকেন। আর প্রধান শিক্ষকের সাথে এই অপপ্রচারে স্কুলের আরেক সহকারী শিক্ষক সঞ্জীব ব্যানার্জী যোগ দেন। সঞ্জীব ব্যানার্জীও একই কথা প্রচার দেন। তাদের এই কথায় বিশ^াস করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ভুল বুঝে গত ১ সপ্তাহ আগে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমানের অফিস কক্ষে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করেন। নির্বাচন পরবর্তী প্রধান শিক্ষকের কারসাজি প্রচার হলে তখন সবার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন সদস্য নির্বাচনের বিষয়ে বা সভাপতি কাকে করবেন না করবেন সে বিষয়ে কোন কথা বলেননি তাই তিনিও কাউকে এবিষয়ে কিছু বলেননি। সহকারী শিক্ষক সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেন, পূর্বের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে এডহক কমিটির সভাপতি সভাপতি হিসেবে আবুল কাশেমের নাম বোর্ডে পাঠানো হলে বোর্ড সেটা গ্রহন না করলে আবুল কাশেমের সহধর্মীনি মুনিরা বেগমকে এডহক কমিটির সভাপতি করা হয় তিনি শুধু এটুকুই বলেছেন।
প্রিজাইডিং অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক নির্বাচনের প্রক্রিয়া যেভাবে করেছেন সেভাবেই ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। একটানা দুইবারের বেশী সভাপতি হতে পারবেন কিনা সেবিষয়ে তার কাছে কেউ কিছু শোনেননি তাই এবিষয়ে কোন আলোচনাও হয়নি। বর্তমানে স্কুলটির উন্নয়ন ও পরিবেশ স্বাভাবিক করতে সরকারী বিধিমালা মেনে যাতে পুনরায় আবুল কাশেমকে সভাপতি করা হয় সেজন্য সকল অভিভাবক ও এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।