নিজস্ব প্রতিনিধি : অবশেষে আদালতের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক চণ্ডি চরণ বালা’র ২০ শতক জমি জবরদখলকারি তিন পরিবারকে উচ্ছেদ করা হলো।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আদালতের পক্ষে জারিকারক শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলীর এবং পুলিশের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক চণ্ডি চরণ বালা জানান, ২০০২ সালে শ্রীরামপুর মৌজার ৪৩ শতক জমি তিনি প্রতিবেশি নন্দ দুলাল বালার কাছ থেকে কেনেন। ২০০৪ সালের ২২ মে প্রতিবেশি বিশ্বনাথ বালার কাছ থেকে ২০০৪ সালে সাড়ে ১৬ শতক জমি কেনেন কালিকাপুরের আরশাদ আলী গাজী, তার স্ত্রী ও বড় মেয়ে।
একই দিনে বিশ্বনাথ বালার কাছ থেকে ১০ শতক জমি কেনেন সামছুর রহমান। জমি না থাকার পরও আরশাদ আলী কৌশলে বিশ্বনাথ বালার কাছ থেকে সাড়ে ৬ শতক জমি বেশি লিখে নিয়ে তার জমি দখলের চেষ্টা চালান। বাধ্য হয়ে তিনি ওই দু’টি দলিলের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে মিস ২৫/২০০৪ ও মিস ৩৬/২০০৪ মামলা করেন। এক বছর যেতে না যেতেই আরশাদ আলী ওই জমি দখলে রাখতে কিছু টাকা নিয়ে বন্দকাটির মনতেজ গাজী ওরফে মণ্টু ,
শ্রীথরকাটি গ্রামের আবুল হোসেন ও খুলনার আব্দুস সাত্তারকে ওই জমিতে বসিয়ে জবরদখল করে নেন। ২০১৯ সালের ২৫ আগষ্ট ৩৬/২০০৪ নং মামলার ও ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ২৫/২০০৪ মামলার রায় তার (চণ্ডি) পক্ষে যায়। আরশাদ আলী ও সামছুর রহমান জমি তার নামে লিখে না দেওয়ায় আইন অনুযায়ি বিবাদি পক্ষ লিখে না দেওয়ায় পরবর্তীতে কালিগঞ্জ জ্যেষ্ট সহকারি জজ জাহিদুর রহমান ওই জমি তার(চণ্ডি) নামে লিখে দেন। ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর ওই জমি থেকে উচ্ছেদের জন্য প্রথম নোটিশ দেওয়া হয়। জারিকারকগণ এসে সেখানে ঘরবাড়ি আছে ও উচ্ছেদ করতে গেলে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ফেব্র“য়ারি আদালত তাকে (চণ্ড চরণ) ওই জমি পুলিশের সহায়তায় বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ি রবিবার অবৈধ বসবাসকারি ওই তিন পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় এসকাভেটর মেশিন ব্যবহার করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন জারিকারক শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম, উপপরিদর্শক সেলিম রেজা, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা শাহ আলম, ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।