নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতারাতি শহরের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস বিলীন হয়ে গেছে। শনিবার সকালে হঠাৎ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা শহরের ইটাগাছা চিত্ত মোড়ে গিয়ে আ’লীগ অফিসের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পায়না। অফিসটি এখন মাটির সাথে মিশে গেছে। ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানায়, শুক্রবার রাত ১টার দিকে চিত্ত মোড়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিস নেতাকর্মীরা দেখতে পায়।
ফজরের নামাজের সময় পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীরা বের হয়ে দেখে আওয়ামী লীগ অফিস বিলীন হয়ে গেছে।
পরে কর্মীরা ওই স্থানে আসলে আ’লীগ অফিসের কোন অস্তিত্বই খুজে পায়না। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন নেতাদের নির্দেশে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী আসাদুজ্জামান লাভলু। এবিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, শহরের ইটাগাছা চিত্ত মোড়স্থ ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটি দলীয় অফিস ছিল। এ অফিসে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যক্রম সহ দলীয় সকল কার্যক্রম আমরা এখানে পরিচালনা করি। গত শনিবার এখানে এসে নেতাকর্মীদের নিয়ে এখানে আমাদের দলীয় অফিস নিশ্চিহ্ন দেখে হতবাগ হয়ে পরি।
পরবর্তীতে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে পৌরসভার কর্মচারীরা এ অফিস ভাঙচুর করে কে বা কার নির্দেশে কোথায় নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাসায় মালামাল গুলো নিয়ে রেখেছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ সহ সকল নেতৃবৃন্দের কাছে আহবান জানিয়েছেন। ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সুব্রত বিশ্বাস জানান, শহরের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি। ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবার সুসংগঠিত করার লক্ষে আমি আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে ঘোষণা দিয়েছি। তবে দলীয় অফিস কারা ভেঙেছে কেন ভেঙেছে তা তদন্ত করে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশীদ জানান, শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সহ ৮/১০ জন নেতাকর্মী অফিসে ছিলাম। তখনো অফিস ঠিক ছিলো।
সকালে এসে দেখি অফিসের কোন অস্তিত্ব নেই। এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু জানান, ৪/৫বছর পূর্বে বাঁশ খুটি দিয়ে আমি কার্যালয়টি নির্মান করি। জায়গাটি রোডসের। রোডস কর্তৃক স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার মাইকিং করলে কার্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরিত করার জন্য আমি নিজ দায়িত্বে অফিসটি সরিয়ে নিয়েছি। তবে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন জানান, ‘এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ বিষয়ে আমরা এজাহার দায়ের করেছি। এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’