আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত চাম্পাফুল আপ্রচ মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্ত্রাসী তান্ডবে এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছে। আক্রমনকারীরা তাকে রাস্তা হতে সন্ত্রাসী স্টাইলে হাই জ্যাক করে স্কুলের ভিতরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত ও নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে আশাশুনি থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে. চাম্পাফুল হাই স্কুল একটি সুপরিচিত, প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষাদানে অনন্য স্থান অধিকারী বিদ্যালয় হিসাবে সমাদৃত। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্যালয়টি সার্বিক দিয়ে খুবই আলোচিত, সমালোাচিত, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ মাথায় নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বলে অভিভাবক মহল,
শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ, স্কুলের সাথে দীর্ঘদিন জড়িত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাবাসী জানান। বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে চরম ভাবে লাঞ্চিত করে অফিস কক্ষ দখল করা, প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মামলার পর মামলা, পাল্টা মামলা, কমিটি গঠনে নিয়ম অমান্যের ঘটনা, শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও ক্লাশ পরিচালনা নিয়ে জটিলতা ও বালখিল্যতাসহ অসংখ্য অভিযোগের কারণে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলের ব্যাপারে অনীহা, অনাগ্রহতা ও পারস্পরিক হীনমন্যতা বিরাজ করছে। ফলে বিদ্যালয়টি বর্তমানে মামলা, হামলা, একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা ও ক্লাসের পরিবর্তে পরচর্চা ও পরনিন্দা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার অভিযোগ রয়েছে জনমনে। ফলে স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতি পরায়নার অভিযোগ রয়েছে। এমনই একটি অভিযোগ বাস্তবে প্রমানিত হয়েছে, রবিবার (১৩ মার্চ)। চাম্পাফুল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে একজন রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী ও জাতীয় দৈনিক খুলনা জেলা প্রতিনিধি।
তিনি বাড়িতে এসেছেন কয়েকদিন। ঘটনার সময় তিনি তার শ্যালিকা (পিং আঃ লতিফ, গ্রাম ধান্যহাটি) সুরাইয়া খাতুনের এসএসসি পরীক্ষার মার্কসীটি আনতে স্কুলে গমন করেন। তখন ইয়াছিন আলি বিদ্যুৎ ৩০০ টাকা দাবী করেন। তিনি টাকা দিয়েজানতে চান কিসের জন্য টাকা নিলেন? এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ধর তোর টাকা লাগবে না বলে টাকা ফেরৎ দেন।
এক পর্যায়ে তিনি স্কুল থেকে গেটের বাইরে গিয়ে জনৈক সাইদ পাড়ের চায়ের দোকানের সামনে গেলে বিদ্যুৎ, সবুর গাজী, আবু হাসানসহ আরও ২/৩ জন রাস্তায় গিয়ে সাংবাদিককে জামার কলার ধরে সন্ত্রাসী স্টাইলে টানতে টানতে স্কুলের মধ্যে নিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। এরপর অফিস কক্ষে নিয়ে গলায় রশি দিয়ে শ্বাস আটতে হত্যার চেষ্টা, লোহার রড দিয়ে পায়ের হাটুতে আঘাত করে জখম করা, জামার পকেটে থাকা ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি অপ্পো ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তারাসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের মারপিটে তিনি চিৎকার করতে থাকলে এবং রাস্তা থেকে চরম অপমানজনক ভাবে ভিতরে নেওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে স্বাক্ষীরা ভিতরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে গেলে চা ব্যবসায়ী সাইদ পাড়, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ স্থানীয় বহু মানুষ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে জানান। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আঃ হামিকসহ স্কুলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তারা বর্তমানে বাইরে আছেন, পরে কথা বলবেন বলে জানান।