আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান ও উপ-পরিদর্শক (এস.আই) লিয়াকতের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বেআইনীভাবে আটকে রেখে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে শ্যামনগরের বিড়ালক্ষ্মী গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন মোল্লার ছেলে ভাটা সর্দার কবীর হোসেন সবুজ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ জুন সকাল ১০টার দিকে শ্যামনগর থানার এসআই লিয়াকত নওয়াবেকী থেকে কোন অভিযোগ ছাড়াই বিড়ালক্ষ্মী গ্রামের কবীর হোসেন সবুজকে নওয়াবেকী এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর তাকে থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষের জানালার সাথে বেধে বেদমভাবে পিটিয়ে আহত করেন এসআই লিয়াকত। পরে তাকে ওসির কক্ষে নেওয়া হলে সেখানে হয় দেনদরবার। সবুজের কাছে চাওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। সে সময় সবুজের কাছে থাকা ভাটার শ্রমিকদের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেন ওসি সৈয়দ আব্দুল মান্নান ও এসআই লিয়াকত। পরে সবুজের স্ত্রী বাড়ি থেকে আরও ১৮ হাজার টাকা এনে দিলে রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সবুজ পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দিন সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এক পর্যায়ে সবুজ সুস্থ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে ১০৯/৩২৩/৩২৭/৩৪২/৩৮৫/৩৮৬ ধারায় ওসি সৈয়দ আব্দুল মান্নান ও এস আই লিয়াকতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে ৫০ হাজার টাকার দেন-দরবার সংক্রান্ত একটি অডিও ফোন রেকর্ডও দাখিল করেছেন বাদী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার গোপাল কুমার ম-ল জানান, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম. জাহিদ হাসান এ মামলায় বাদীর জবান বন্দি গ্রহন করে প্রাথমিকভাবে আমলে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান বলেন, তিনি সবুজকে চেনেনও না। মামলা হয়েছে কি না তাও তিনি জানেন না। প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরায় পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানির এমন অভিযোগ অহরহ ঘটেই চলেছে।