বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অবৈধভাবে নদীর ভূগর্বস্থ থেকে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ ই মার্চ) বেলা ১২ টায় শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়ন ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন এর মধ্যবর্তী খোলপেটুয়া নদীতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহীদুল্লাহ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নদীর ভূগর্বস্থ থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। এটি যারা করে এবং এই কাজের সাথে যারা জড়িত, তারা দেশ ও রাষ্ট্রের শত্রু। এদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। আমাদের পদ্মপুকুর ইউনিয়ন তহসিল অফিস থেকে তথ্য প্রদানের পর আমরা শ্যামনগর থানা পুলিশ এর দুইজন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এসময় মো. আলফাজ হোসেন (কারগো মালিক), মো. জামাল হোসেন নামে দুইজনকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে নগদ অর্থ আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, কারগো মালিক আলফাজ কে যখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিজ্ঞেস করেন, এই বালু কোথায় যাবে..? তখন তিনি পকেট থেকে একটি স্লিপ বের করেন। যে স্লিপটি বের করে, তাতে বালু নামার স্থান হিসেবে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি রাস্তা উল্লেখ করা ছিল। এবং এই স্লিপটি নাকি আশাশুনির বালু ব্যবসায়ীর ম্যানেজার মো. আজিজুল ইসলাম দিয়েছে এবং তার স্বাক্ষরিত। যে স্লিপটিতে গত ১৫ মার্চ ২০২২ তারিখ উল্লেখ করা। যে স্লিপের মেয়াদ আরও ২ দিন আগে শেষ হয়ে গেছে। তাছাড়া শ্যামনগর উপজেলায় কোন বালু মহাল না থাকার কারনে আশাশুনি উপজেলার জেলিয়াখালি বালু মহালের ব্যকডেটেড স্লিপটি নেওয়া স্বত্তেও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধভাবে ভূগর্বস্থ হতে বালু উত্তোলন করছিলেন। এমতাবস্থায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই কারগো মালিক কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এসময় পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তপন কুমার মন্ডল, এসআই মোস্তাফিজুর রহমান, কনস্টেবল মো. ফারুক হোসেন, ভূমি অফিসের মো. মুশফিকুর রহমান, মো. তৌহিদ হোসেন সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার কর্তব্যরত সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।