শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিষ প্রয়োগে আট লক্ষ টাকার মাছ ও কাঁকড়া মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী পোড়াকাটলা গ্রামের এঘটনা ঘটে।
হরিচারন হালদার এর পুত্র সুব্রত হালদার জানান, আমি সব সময় কাঁকড়ার খাদ্য হিসাবে তেলাপিয়া মাছ ক্রয় করে শ্যামনগর থানাধীন ভামিয়া কাঁকড়ার পয়েন্ট মালিক দেবদাশ মন্ডল, সুরুজীৎ মন্ডল, মোঃ বাক্কার গাজী, দাতিনাখালী এলাকায় কাঁকড়া চাষীর কাছে বিক্রি করি।
৩০শে মার্চ ধুমঘাট এলাকার জিয়াদ আলী খাঁ পুত্র আব্দুল করিম খাঁ সোনার মোড়ে মাছের ছেটে তার তেলাপিয়া মাছ ‘ মেসার্স ঢাকা ফিস ” বিক্রয় করে ।
আমি উক্ত মাছ ” মেসার্স ঢাকা ফিস ” থেকে ছত্রিশ কেজি আটশো গ্রাম তেলাপিয়া মাছ ক্রয় করে কাঁকড়ার পয়েন্ট মালিকদের নিকট বিক্রয় করি । উক্ত তেলাপিয়া মাছ কাঁকড়ার পয়েন্ট মালিকগন তাদের পয়েন্টে কাঁকড়ার খাবার হিসাবে দিলে তাদের কাঁকড়া প্রায় ১৫ হাজার পিস কাঁকড়া মারা যায় । যাহার অনুমান মূল্য সাত লক্ষ থেকে আট লক্ষ টাকা। সুব্রত অভিযোগে আরও বলেন, ৩১শে মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ১০টার সময় আমি সহ কাঁকড়ার মালিকগন আব্দুল করিম কে মাছের সমিতির আড়তে ডেকে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার বিষয় জানতে চাইলে বিবাদী আমাদের কে অবন্তর ভাষয়া গালি – গালাজ করতে থাকে ।
আমরা আমাদের ক্ষতি পূরন চাইলে বিবদী আমাদের উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে মারার জন্য উদ্যাত হইয়া বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দিয়ে বলে যে , আমি বিষ দিয়ে মারা মাছ বিক্রয় করেছি , আমি তোদের কোন ক্ষতি পূরন দিতে পারবো না পারলে তোরা কিছু করে নিস মর্মে হুমকি প্রদান করে হাকাইয়া দেয়। এ ব্যাপারে মেসার্স ঢাকা আফি এর পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা কমিশনে মাছ বিক্রি করে দিই মাছ বিক্রেতা কিভাবে মাছ ধরেছে সেটা তো আমরা জানি না। মাছ বিক্রেতা আব্দুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মাছ বিষ প্রয়োগ করে ধরা না আমি পুকুর সেচে মাছ বিক্রি করেছি আর শুধু তেলাপিয়া না বিভিন্ন প্রকারের মাছ বিক্রি করেছি। এভাবে বিষ প্রয়োগ করা মাছ বাজারজাত হলে ক্ষুদ্র কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এবং এসকল ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।