আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী। এঘটনায় প্রতিপক্ষের কায়ছেদ মোড়ল সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দীন আছেন বলে জানা গেছে। এব্যাপারে আহত সাদেক মোড়ল বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। লিখিত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামের মৃত ইমান আলী মোড়লের ছেলে কায়ছেদ মোড়ল, তার ছেলে মোস্তফা রহমান বাবলু, মেয়ে রেহেনা, মেয়ে জামাই বোয়ালমারী গ্রামের আরিফুল ইসলাম, ছেলের স্ত্রী রুমি খাতুন মিলে পাশ্ববর্তী প্রতিবেশীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে জখম করে। এঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মারাত্বক ভাবে জখম হয়েছে নৈকাটি গ্রামের কওছার মোড়লের স্ত্রী আকলিমা বেগম, ছেলে রবিউল ইসলাম ও সাদেক মোড়ল। আহতদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আকলিমা বেগমের অবস্থা আশংকা জনক। স্থানীয় ও আহত সূত্রে জানাগেছে, জমি জায়গা নিয়ে সোমবার বিকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কায়ছেদ মোড়ল সহ তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিত ভাবে সাদেক মোড়লের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। বাঁধা দিতে গেলে মা আকলিমা বেগম ও ছোট ভাই রবিউল ইসলামকে সন্ত্রাসী স্টাইলে দা দিয়ে কুপিয়ে হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে নিলাফোলা জখম করে প্রতিপক্ষ কায়ছেদ মোড়ল গং। দিনে দুপুরে এমন সিনেমা স্টাইলে অসহায়দের উপর হামলার ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। ইতিপূর্বেও অভিযুক্ত কায়ছেদ মোড়লের পরিবারের বিরুদ্ধে বিনা কারণে প্রতিক্ষকে মারপিট জোর পূর্বক জমি দখল, মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো সহ একাধিক অভিযোগ করেন প্রতিবেশীরা। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখানো ও মারপিট করা হয় বলে জানাগেছে। হামলা চলাকালে কায়ছেদ মোড়ল গং কওছার মোড়লের বাড়ি ভাংচুর ও স্বর্নলংকার লুট করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় হত্যার চেষ্টা ও হামলাকারী কায়ছেদ মোড়ল গংদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও ভুক্তভোগী পরিবার।