শ্যামনগর

শ্যামনগরে তপোবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ !

By daily satkhira

April 09, 2022

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার আড়পাংগাশিয়া তপোবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোন কমিটি না থাকা অবস্থায় ব্যাক ডেড দিয়ে পাতানো নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামরঞ্জন বিশ^াস ২০২১ সালের অক্টোবরে অবসর গ্রহন করেন।

এর পর তিনি আবেদন করে ২ বছর চাকুরি বর্ধিত করার জন্য আবেদন করেন। তিনি যোগসাজসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পাতানো নাম মাত্র নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মনোদীপ কুমার সরকার কে উত্তীর্ন করে নিয়োগ প্রদান করেন। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি ছাড়া এডহক কমিটি বা মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নিয়োগ প্রদান করতে পারে না সেহেতু নিয়োগটি প্রশ্ন বিদ্ধ।

রাম রঞ্জন মন্ডলের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অর্থের বিনিময়ে আয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মি, কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয় এবং তাহার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ভূমি দাতার ছেলে বিজয় প্রসাদ বিশ^াস বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্বেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার লোভে বোর্ডে এডহক কমিটি গঠনের আবেদন করতে দেরি করেন। এডহক কমিটি গঠনের আবেদন করতে কয়েক মাস দেরি হওয়ার কারনে বোর্ড বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

২৩/০৩/২০২২ তারিখ মনোদীপ কুমার সরকার বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন (মাঃ বিঃ) সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা)পদে থেকে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। ২৪/০৩/২০২২ তারিখ ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ পদত্যাগ পত্র গ্রহন করে তাকে বিদ্যালয়ে থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। এরপর তিনি তপোবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এ যোগদান করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি তারাও বিষয়টি অবগত নয়।

নিয়োগের বিষয় তপোবন মাঃ বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি অসীম মন্ডলকে জানতে চাইলে তিনি বলেন মনোদীপ কুমার সরদার আমি সভাপতি থাকাকালীন নিয়োগ হয়েছে কিনা আমার জানা নাই কাগজ পত্র দেখে পরে জানাতে পারবো।

এ বিষয় নিউজ প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ভাবে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এ প্রস্তাবে রাজি না হলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূরমোহাম্মদ তেজারত সাহেবের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি থাকা অবস্থায় নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। আমার অফিসে এসে কথা বলেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাম রঞ্জন বিশ^াস কে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তুমি জানার কে তোমার জানার অধিকার নেই তোমার জানার এতো কৌতুহল কেন। আমি আপনাদের নামে থানায় জিডি করবো থানায় ডাকাবো আইনের ব্যবস্থা নেব ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। এর আগে বিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয় অনুসন্ধানে গেলে রামরঞ্জন বিশ^াস তথ্য গোপান করে বলেন কবে নিয়োগ হয়েছে বা কমিটির মেয়াদ কবে শেষ হয়েছে আমার মনে নেই। আমি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। আমার ছেলে বিচারক আমি আপনাদের দেখে নেব। আমি কোন তথ্য দিতে পারবো না পারলে আপনারা সংগ্রহ করে নেন। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোদীপ কুমার সরকার মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে বলেন আমি তোমাদের টাকা দেব নিউজ করার প্রয়োজন নেই।