নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাকেশ বাইন ( ২২ ) নামে এক বখাটে যুবককে আটক করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সন্ধায় স্থানীয়দের সহায়তায় শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে আটক করে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ কলবাড়ী নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ধর্ষক রাকেশ বাইন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনি গ্রামের স্বপন বাইনের ছেলে।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর মা এ ঘটনায় বাদী হয়ে আটক রাকেশ ও তার সহযোগী রাহুল চৌকিদারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে শ্যামনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই স্কুল ছাত্রী জানান , চাচাতো বোন এর সাথে গত রোববার বিকালে সে বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে পূজা দেখতে যায়। সেখান থেকে ১০ টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে বুড়িগোয়ালিনি রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সামনের সড়কে পৌঁছালে পূজার পূর্ব পরিচিত এক যুবকের সাথে তাদের দেখা হয়। রাস্তার উপর দাড়িয়ে ওই যুবকের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে স্থানীয় দুই বখাটে রাহুল চৌকিদার ও রাকেশ বাইন সেখানে হাজির হয়ে গালিগালাজ করে ঐ যুবককে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী ও তার চাচাতো বোন পুজা মিস্ত্রি বাড়ি যাওয়ার সময় তাদের পথ আটকিয়ে বখাটে ঐ দুই যুবক মিলে তাদের টেনে হিচড়ে পার্শ্ববর্তী রাকেশের বাড়িতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে পূজা রাহুলের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে গেলেও নিকটস্থ বাগানে নিয়ে রাকেশ ভুক্তভোগী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় রাহুল নিজ ব্যবহৃত মুঠোফোন দিয়ে তাকে ধর্ষণের পুরো চিত্র ভিডিও করে এবং কাউকে কিছু জানালে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
ওই ছাত্রীর মা জানান, ইতোপূর্বে আমার মেয়ে স্কুল ও কোচিং এ যাওয়া আসার পথে রাস্তাঘাটে ঐ দুই বখাটে তার মেয়েকে বাজে কথা শুনাতো বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতো। এ ঘটনার পরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনা খুলে বলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার মঙ্গলবার রাতে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে শ্যামনগর থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১নং আসামীকে আটক করেছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান , স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগটি মামলা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। মামলা নং-২১। ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ভুক্তভোগী ছাত্রীর সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে তাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এজাহার নামীয় ১ নং আসামীকে আটক করা হয়েছে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।