নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজনৈতিক বিরোধের জেরে কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরের ইউপি মেম্বর জবেদ আলী কর্তক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কালিগঞ্জ উপজেলার নেংগী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জায়েদ আলীর পুত্র হাবিবুল্লাহ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা অত্র এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। গত কয়েক মাস পূর্বে সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জবেদ আলীর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা আনুর পক্ষে কাজ করায় জবেদ আলীগং আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। নির্বাচনে জবেদ আলী মেম্বর বিজয়ী হওয়ার সাথে সাথে আমার বড়পুত্রকে মারপিট করে।
এঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করেছিলাম। এছাড়া আমার সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানি করতে চক্রান্ত চালাতে থাকে। একপর্যায়ে জবেদ আলী মেম্বর নিজের আপন চাচাতো ভাই জামায়াত নেতা ছবুর আলী গাজীর কন্যা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার ছোট পুত্র আরিফ শেখ (১৭) এর বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। উক্ত মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা সকলেই জবেদ আলী মেম্বরের আপন ভাই। প্রকৃতপক্ষে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধের কারনে বার বার ওই জামায়াত-বিএনপি পরিবারের লোকজন একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের হয়রানি করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন আমার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা কখনো এলাকায় কারো অশান্তির কারন হয়নি। থানা কেন ইউনিয়ন পরিষদেও আমাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন অভিযোগ নেই। শুধু মাত্র নির্বাচনে বিএনপি নেতা জবেদ আলীর বিরোধীতা করায় আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার পুত্র একজন ন¤্র ভদ্র। প্রতিশোধ নিতে জবেদ আলী এই ধরনের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি ওই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ওই মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আমার পুত্রকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি এবং জবেদ আলী মেম্বর গংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।