অনলাইন ডেস্ক: পাবনা পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টের ইফতারি খেয়ে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৯ বিচারকসহ অন্তত ৩০ জন অসুস্থ হয়েছেন। এ ঘটনায় রেস্টুরেন্ট মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে তাদের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- রূপকথা রোডের কাশমেরি ফুড গার্ডেনের সত্ত্বাধিকারী হাসানুর রহমান রনি, ব্যবস্থাপক সাব্বির হোসেন ও নাজমুস সাদাত মাসুদ। বিষয়টি শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পাবনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একজন বিচারকের বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্থ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুজ্জামান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান আল আজাদ ও সহকারী জজ মো. তৌহিদুল ইসলামসহ ৯ বিচারক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, কাশমেরি ফুড গার্ডেন থেকে আনা ইফতারির খাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে তাদের মধ্যে ছয় জনকে পাবনার শিমলা হাসপাতালে (প্রা.) চিকিৎসা নেন। অন্যরা নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পাবনা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. মাহবুব আলম বলেন, পাবনা জজকোর্ট কনফারেন্স রুমে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে ৭০ প্যাকেট ইফতার সামগ্রী ও বিরিয়ানি প্যাকেট সরবরাহের জন্য পাবনা পৌর শহরের রূপকথা রোডের কাশমেরি ফুড গার্ডেনে অর্ডার দেওয়া হয়। ওই খাবার খেয়ে অন্তত ৩০ জন অসুস্থ হন। পরীক্ষা করে দেখা যায়, খাবারগুলো খাওয়ার অনুপযুক্ত এবং দুর্গন্ধযুক্ত ও তৈলাক্ত।
পাবনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী ইফতারের খাবার খেয়ে চরম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩-এর ৩৩ ধারায় মামলা করি। একইসঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ফুড গার্ডেনের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।