সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার আড়ুয়াখালীতে আবারো পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন

By daily satkhira

April 25, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়নের আড়–য়াখালি গ্রামের ছৈলদ্দিনের পুকুরে বিষ দিয়ে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে এ বিষ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আড়–য়াখালি গ্রামের ছফুরা খাতুন জানান, দেড় মাস আগে তার স্বামী ছৈলদ্দিন চালাই মাছ কিনে বড় করার জন্য বিলের পুকুরে ছেড়ে দেন। রবিবার রাতে কে বা কাহারা তাদের পুকুরে বিষ দিয়ে দু’ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মেরে ফেলে। সোমবার সকালে যেয়ে তিনি পুকুরে মরা মাছ ভাসমান অবস্থায় দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে তিনি থ্নাায় লিখিত অভিযোগ দেন।

সফুরা খাতুনের অভিযোগ, ২০ শতক জমি নিয়ে তাদরে সঙ্গে গ্রামের কুরবান আলী, মোঃ পলাশ, বাবলু ও হাসানের দীর্ঘদিনের মামলা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের মদতে প্রতিপক্ষরা তাদের পুকুর থেকে প্রতি বছর মাছ লুট করে থাকে। কয়েকদিন আগে নুরুল ইসলামের মাছের ডোবায় বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার ঘটনায় মনিরুল মেম্বর থেকে তার স্বামী ছৈলদ্দিনও মাছ ব্যবসায়ি সালামের নামে মামলা করায় মেম্বর মনিরুল। সালামকে ধান খেত থেকে ডেকে এনে পুলিশে দেয় মনিরুল। পরে সালাম ও ছৈলদ্দিন জামিনে মুক্তি পায়। ছৈলদ্দিনের ব্যবহৃত,মোবাইল ফোন ও এক জোড়া পুরাতন হাওয়াই চপ্পল নুরুল তার জিম্মায় রেখে দিয়েছে। মনিরুল মেম্বরের পরিকল্পনায় তাদের ঘেরে বরিবার রাতে পরিকল্পিতভাবে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আব্দুস সালামের স্ত্রী সাবিকুন্নাহার জানান, ২০১৯ সালে তার স্বামীকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যেয়ে দু’ লাখ টাকা দাবি করে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয় মনিরুল মেম্বব। এর তিন সপ্তাহ না যেতেই মনিরুলের ইশারায় সদর থানার তদন্ত ওসি আবুল কালাম জোর পূর্বক ঘরের মধ্যে ঢুকে তার স্বামীকে ধরে আগরদাঁড়ি মাদ্রাসায় নিয়ে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালান। চাচা শ্বশুরে এলেম গাজীর মৃত্যুর খবরে তাকে ছাড়িয়ে আনতে ৪০ হাজার টাকা নেয় মনিরুল ইসলাম। পরদিন তার চাচা মারা যাওয়ায় সকাল ১০টার দিকে সালামকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে মনিরুল ইসলাম। পল্লী বিদ্যুতের পোষ্ট দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাথা পিছু সাত থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায়কারি মনিরুল মেম্বর নাশকতার মামলার জেল খাটানোর কথা বলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মনিরুল ও রকিব মাষ্টার। যদিও মনিরুল ইসলাম তা অস্বীকার করেছেন।