কালিগঞ্জ

দ্বিতীয় বিয়ে করলেন কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী

By daily satkhira

April 27, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মিনা (২২)। সে মৌতলা ইউনিয়নের মাজেদের মেয়ে।

গত কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে সাঈদ মেহেদীর দিত্বীয় বিয়ের একটি ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হলেও বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশার ভিতরে রেখেছেন তিনি।

বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী অবস্থান করছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানিয়েছেন। তবে দিত্বীয় বিয়ে করায় তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে বিরোধ চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কোয়ার্টারের আশে পাশে বসবাসরত অনেকে জানান, গত কয়েক মাস যাবত উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারের ভিতরে দিনরাত এক যুবতী মেয়েকে দেখতে পাওয়া যায়। তবে মাঝে মধ্যে কোয়ার্টারের ভিতর থেকে মারপিট এর শব্দ শোনা যায়। প্রতিদিন সাহরীর সময় চেয়ারম্যান কাউকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সাথে সাথে প্রচন্ড মারপিটেরও এর শব্দ শোনা যায় বলে জানান তারা। তবে তার সাথে থাকা ওই যুবতীকে মারধর ও গালিগালাজ করতে পারেন বলে ধারণা তাদের। এছাড়া তার সাথে কোয়ার্টারে থাকা মেয়েটি তার সর্ম্পকে কি সেটা বলতে পারেনি স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য এর আগে ২০১৩ সালে আবাসিক হোটেলে লাবনী নামে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয় উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান থাকাকালীন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী তার দিত্বীয় স্ত্রী মিনার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত কয়েক বছর আগে তিনি ওই মেয়েকে বিয়ে করেন। বহুদিন চেয়ারম্যানের দিত্বীয় বিয়ের কথা শোনা গেলেও বিষয়টি অস্বীকার করতেন তিনি।

দিত্বীয় বিয়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী প্রথমে ষ বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বিয়ে করেছেন বলে স্বীকার করেন। তার কোয়ার্টারে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা বর্তমানে অবস্থান করছেন। তাকে ৪ বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন বলে নিশ্চিত করেন।

কোয়ার্টারে মারপিট ও গালিগালাজ এর বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন আমার পারিবারিক বিষয় নিয়েও আপনার সাথে বলতে হবে নাকি বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী লাভলী পারভীন জানান তার স্বামীকে ট্রাপে ফেলে বিয়ে করেছে তাহমিনা। এখন সে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টারে অবস্থান করছে বলে জানান তিনি। এবিষয়ে দিত্বীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার মিনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।