নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে চৌকিদার কর্র্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় এক’শ বছরের পৈত্রিক সম্পত্তির ধান ও মাছ জোরপূর্বক ভাগ নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন,
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের আহছানডাঙ্গা গ্রামের মৃত অমূল্য বিশ^াসের পুত্র ভুক্তভোগী সুনীল বিশ্বাস। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা ধুলিহর ইউনিয়নের আহছানডাঙ্গায় যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করে আসছি।
ধুলিহর মৌজায় শুকদেবপুরে এসএ ৭৮৩নং খতিয়ানে ১৬১২৪, ১৬১২৫, ১৬২২৮, ১৬১২৫,১২৮৯ দাগে ১৯ একর ১৮ শতক সম্পত্তি আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবার এবং কয়েকটি মুসলিম পরিবারের পূর্বপুরুষগণ ১৯২৮ সালে বর্গাচাষী হিসেবে আমন ধান এবং ১৯৫৫ সাল থেকে কোবলা সূত্রে এবং বর্গাচাষী হিসেবে ভোগদখল করে আসছিলাম।
পূর্ব পুরুষগণের মৃত্যুর পর আমরা পৈত্রিক সূত্রে উক্ত সম্পত্তিতে ধান চাষ এবং মৎস্যচাষাবাদ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে ধুলিহর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নৌকার পক্ষে কাজ এবং ভোট প্রদান করায় এতে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এরই জের ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহনের পর থেকে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন চেয়ারম্যান মিজান চৌধুরী।
যে কারণে চেয়ারম্যান অদৃশ্য ক্ষমতাবলে তার পরিষদের চৌকিদার পাঠিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে লাগানো ধান থেকে চার আনা অংশের ধান তাদেরকে দিতে হবে তা না হলে আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে, তার ভাড়াটিয়া বাহিনি দিয়ে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করেন। অথচ উক্ত সম্পত্তিতে চেয়ারম্যানের বা পরিষদের কোন স্বত্ব নেই। তিনি আরো বলেন গত বছরের নভেম্বর মাসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই চলতি বছারের ফেব্রুয়ারীতে উক্ত সম্পত্তির মৎস্য ঘের থেকে তার পরিষদের চৌকিদার দিয়ে প্রায় ৪লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে নিয়ে যান।
এতে প্রতিবাদ করলে সে সময়ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আমাদের দমিয়ে রাখেন। আমরা অত্যান্ত অসহায় এবং নিরিহ প্রকৃতির হওয়ায় চেয়ারম্যান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের পথে বসানোর চক্রান্ত করে যাচ্ছেন। আমাদের জীবন জীবিকার একমাত্র উৎস উক্ত সম্পত্তিতে ধান এবং মাছ চাষ করা। সেটি কৌশলে চেয়ারম্যান দখলে করে নিয়ে আমাদের ২৫/৩০ টি পরিবারকে পথে বসাতে চান।
এমনিতেই বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তার লোকজনদের হুমকিতে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় তাদের ২৫/৩০টি অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে ওই চেয়ারম্যানের কবল থেকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আহছানডাঙ্গা গ্রামের শ্রী দুলাল বিশ্বাসের ছেলে শ্রী ভবেশ বিশ্বাস, শ্রী ভৈরব বিশ্বাসের ছেলে শ্রী উত্তম বিশ্বাস ও গোবিন্দপুর গ্রামের মোহাম্মাদ আলী সরদারের ছেলে হুমায়ুন কবির।