মাহফুজুর রহমান তালেব ঃ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১১ মে বিকাল ৫টার সময় মুখোশধারী মটরসাইকেল আরোহী কর্তৃক ছুরিকাহতের ঘটনা ঘটেছে।
আহত ছাত্রী মোহনা কর্মকারের বক্তব্যে জানা যায়, সে প্রতিদিনের ন্যায় তার অন্যান্য বান্ধবীদের সঙ্গে সিংহড়তলী গ্রামের ধল নামক স্থানে শিক্ষক সুশান্ত কুমার মন্ডলের বাড়ীতে প্রাইভেট পড়তে যায়।
পড়াশেষে সে বাড়ীর বাহিরে এসে তার সাইকেলটি তালাবদ্ধ দেখে এবং সাইকেলের চাবিটি সেখানে না থাকায় সে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কিছু দূরে মাটিতে ফেলানো অবস্থায় চাবিটি খুঁজে পায়। এরপর সে তার সাইকেলযোগে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয় ততোক্ষণে তার সঙ্গীয় বান্ধবীরা বেশ কিছুটা সামনে অগ্রসর হয়েছে।
সে একা কামরুল ইসলাম সরদারের পোল্ট্রির ফার্মের সম্মূখে পৌঁছালে পিছন থেকে মুখোশধারী এক ব্যক্তি মটর সাইকেল যোগে এসে তার সাইকেলের গতি রোধ করে এবং পিছন থেকে হাত দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে ছুরি দিয়ে গলায় আঘাতের চেষ্টা করে। এসময় উক্ত ছাত্রীটি হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে তার হাত মারাত্মক জখম হয়ে ফিংকি দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকলে আক্রমণকারী ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন সে তার বান্ধবীদের সহায়তায় উদ্ধার হয় এবং তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় হরিনগর বাজার সংলগ্ন পল্লী চিকিৎসক ডাক্তার শিবপদ মন্ডলের চেম্বারে ভর্তি হয়। খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি তারক বিশ্বাস সঙ্গীয় স্টাফ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং শ্যামনগর থানার এস,আই সুভাষ তার সঙ্গীয় স্টাফসহ মেয়েটির সাক্ষাৎকার নিয়ে আসামীর অনুসন্ধানে খোঁজখবর নিতে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন। আহত মোহনা কর্মকার বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং সে মথুরাপুর গ্রামের নরোত্তম কর্মকার ছোট কণ্যা। আকস্মিক এ ঘটনায় এলাকার চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এখবর লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছিল।