নিজস্ব প্রতিনিধি : অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তালার ধানদিয়া ইউপি নির্বাচনের ব্যালট পূনঃগণনার নির্দেশ প্রদান করেছে সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল। গত ২৮এপ্রিল সাতক্ষীরা নির্বাচনী ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন ফরাজী এ আদেশ দেন। আদালত সুত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২০সেপ্টেম্বর দেশে প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী দিদারুল ইসলাম অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১/২০২১।
দীর্ঘদিনের পর চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল এ মামলায় ব্যালট গণনার নির্দেশ দেয় আদালত। আদেশে আগামী ১৯মে ব্যালট পুনঃগণনার জন্য তালা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোস্তাফিজুর রহমান ও তালা শিক্ষা অফিসারসহ বাদী ও বিবাদী পক্ষের কৌশালীদের হাজির থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়। মামলার বাদী দিদারুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালে ২০ সেপ্টেম্বর দেশের প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। নির্বাচনে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও টেবিল ফ্যান প্রতিকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, নৌকা প্রতিকের শহিদুল ইসলাম, আনারস প্রতিকের হামিজউদ্দীন। নির্বাচনের রেজাল্ট শীটে মোট ৪৭০টি নষ্ট ভোটসহ ১৩৮৬৫টি ভোট দেখানো হয়। এর মধ্যে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ১৬৭৩টি, আনারস প্রতিকের প্রার্থী হামিজউদ্দীন ১৫৯৪টি, টেবিল ফ্যান প্রতিকের প্রার্থী ৫৩৫৬টি ও আমি নিজে মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে ৪৭৭২টি ভোট দেখানো হয়।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, অধিকাংশ জায়গায় আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। সবশেষে আমাকে কারচুপির মাধ্যমে আমাকে ৫৮৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় দেখানো হয়। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সময়ে আমি সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেও তার প্রতিকার পায় নি। তাই বাধ্য হয়ে আমি গত বছরের নভেম্বর মাসে সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা করি। মামলা নং-১১/২১। মামলার দীর্ঘপ্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ১৯মে ভোট পুনঃগণনার নির্দেশ দেয় আদালত। সঠিক ভাবে ব্যালট পুনঃগননা হলে তার বিজয়ী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।