নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর অববাহিকায় জলাবদ্ধতা দুরীকরণ ও নদী পুনজীর্বনীর জন্য টিআরএম পদ্ধতির বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।
১৭ মে ২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন, নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ, আবু সুফিয়ান সজল, শেখ শওকত আলী, আব্দুর রব পলাশ,সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মো: হাফিজুর রহমান, শেখ মারুক হোসেন, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, শেখ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে সংগঠনটি উল্লেখ করেছেন, অবৈদ দখল ও দুষণের কারনে সাতক্ষীরার বেতনা, কপোতাক্ষ, মরিচ্চাসহ নদীগুলো মৃত প্রায়। এসব নদীগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে দ্রুত টিআরএম পদ্ধতি বা জোয়ারাধার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। ইতোমধ্যে কপোতাক্ষ অববাহিকার তালাল পাখিমারা বিলে টিআরএম পদ্ধতি বাস্তবায়িত হয়েছে।
সেটি প্রমাণ করে এ পদ্ধতি চালু করলে নদী প্রাণ ফিরে পাবে। এছাড়া বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটি। দাবিসমূহ হচ্ছে. ১৯৬২ সালের মাঠ জরিপ অনুযাী নদী ও খালের সীমানা সংরক্ষন করতে হবে এবং নদী ও খালের বর্তমান প্রবাহের স্থান সংযুক্ত করে খনন করতে হবে।
নদী খালের ভেড়ির ভিতরে অবস্থিত ব্যক্তিমালিকানাধীন রেকর্ডীয় জমি ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত করে ব্যক্তির দখল নির্মূল করতে হবে। নদী খাল খনন করে প্রত্যেক নদী, খাল, পাশ খালের সঙ্গে সংযুক্ত করে জোয়ার ভাটার ব্যবস্থা করতে হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত নদী ও খালের সীমানায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে হবে। বেতনা নদীর ধার দিয়ে ইট ভাটার অবৈধ দখলকৃত চর পুনরুদ্ধার করে স্থায়ীভাবে নদীর সীমানায় ইট নির্মানের চাতাল নিষিদ্ধ করতে হবে। অবৈধ উচ্ছেদের পূর্বে অসহায় ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে। নদীর নাব্যতা ঠিক রাখতে টিআরএম ব্যবস্থা চালু করতে হবে।