সাতক্ষীরা

চাঁদা না দেওয়ায় কুপিয়ে জখমের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে খলিল ও মিজান আটকের খবরে মিস্টি বিতরণ

By daily satkhira

May 21, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি : দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ঘের মালিকসহ তার দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় খলিলুর রহমান ও মিজানকে আটক করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে মাসুদের মাছের ঘেরে এ হামলার ঘটনার পর স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার ইশতিয়াক হোসাইনের নেতৃত্বে আসামীদের আটক করা হয়। খানপুর এলাকার সাত্তারের ছেলে মিজান ও নজরুল ইসলামের ছেলে খলিলুর রহমানের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সন্ধ্যায় এলাকার বিভিন্ন স্থানে মিস্টি বিতরণ করেছেন স্থানীয়রা। এসময় তারা বলেন, এলাকার ত্রাসখ্যাত ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাদাবাজ খলিল ও মিজান গ্রেপ্তার করায় এলাকায় কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফিরে এসছে। এজন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার ইশতিয়াক হোসাইনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানান তারা। উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে মাসুদের মাছের ঘেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মশিউর রহমান বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। বাদি মশিউর রহমান তার লিখিত এজাহারে বলেন, আমিসহ অপর দুই ভাই মারুফ ও মাসুদ শহরে বসবাস করলেও সদর উপজেলার পরানদহ মৌজার ডিপি ৮৪২সহ অন্যান্য জমিতে দীর্ঘদিন ধরে মাছের ঘের ও ধান চাষ করে আসছি। মাছের ঘের ওষুধের দোকানসহ অন্যান্য ব্যবসা দেখভাল করার জন্য মারুফ ও মাসুদ প্রায়ই গ্রামের বাড়ি খানপুরে যায়। গত কয়েকদিন আগে একই গ্রামের ছাত্তারের ছেলে মিজান আমার ভাই মারুফের কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে এলাকায় ঘের করতে দিবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। ১৩ মে সকালে মারুফ ও মাসুদ ঘেরভেড়ি দেখার জন্য শহর থেকে খানপুর গ্রামে আসে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খানপুর গ্রামের মৃত দরবেশ মোল্যার ছেলে আখের আলী ও আহাদ আলী, আহাদের ছেলে লিটন ও সাইদুর, আখের আলীর ছেলে আলতাফ ওরফে খোকন, রিপন ও লিটন এবং ছাত্তারের ছেলে মিজানসহ অজ্ঞাতনাম আরো ৪/৫ জন আমাদের ঘেরে ঢুকে আমার ভাই মারুফ ও মাসুদকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। এসময় তারা দু’জনকে মারাত্মক জখম করে। একপর্যায় তারা দু’ভাই মরে গেছে ভেবে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে স্থানীয় তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাসুদ ও মারুফের মাথা ও ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৫-২০টি করে সেলাই দিতে হয়েছে। তাদের দুই ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।