নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বসতবাড়ীর সীমানার মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে ডিসিআর নিয়ে প্রাচীর ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতলেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের মৃত শেখ নুরুল হকের পুত্র শেখ লিয়াকত হোসেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, বাদঘাটা মৌজায় দাগ নং আর এস ২৮.৩০-৫৬ শতকের মধ্যে শ্যামনগর সদরের গোডাউন মোড় সংলগ্ন সাড়ে ১২ শতক জমির উপর পাকা বাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছি।
আমার বাড়ির সামনে জেলা পরিষদের কিছু সম্পত্তি রয়েছে। আমার দুইতলা বিশিষ্ট বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আমার স্ত্রী-সন্তান থাকলেও আমি মাঝে মধ্যে বাইরে থাকি। ভবনের নীচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকে মাজাট গ্রামের সেকেন্দার আলী। ভাড়া থাকার সুবাদে জেলা পরিষদকে ভুল বুঝিয়ে ওই সম্পত্তির সামনে তার দখল আছে দেখিয়ে গোপনে ডিসিআর গ্রহণ করে। অথচ সে আমার ভাড়াটিয়া।
ডিসিআর নিয়েই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়ে এবং আমাকেও অবগত না করিয়ে হটাৎ করে আমার সীমানা প্রাচীর ভেঙে নতুন গেট বসিয়েছে এবং গেটের ভিতরে ঘর নির্মানের জন্য প্রাচীর নির্মান করছে। আমি বাধা দিতে গেলে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শণ করে। দখল থাকলে সেই ডিসিআর পাবে এমন আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই পর সম্পদ লোভী সেকেন্দার আলী জেলা পরিষদ থেকে ডিসিআর নিয়েই আমার নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভেঙে আর্থিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এমনকি আমাকেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তিনি প্রাচীর ভাংচুরের ক্ষতিপূরণসহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।