নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরে রাতের আঁধারে ভূমিহীন নামধারী ভূমিদস্যু মোকছেদের নেতৃত্বে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতার সম্পত্তি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামের মৃত. সামছুদ্দিন গাজীর পুত্র সুজা মাহমুদ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, শ্যামনগর মৌজায় বি আর এস খতিয়ান ১০৯০ ও বি আর এস খতিয়ান ৭৯০ খতিয়ানে ১ একর ৮৯ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৭৯০ খতিয়ানের ৮৯ শতক সম্পত্তি ১৯৬৬ সাল থেকে এবং ১০৯০ খতিয়ানের সম্পত্তি ১৯৭৬ সাল থেকে ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি।
স্ব নামে নাম পত্তন করাসহ কর আদায়, খাজনা দাখিলার চেক কাটা আছে। কিন্তু সম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলার কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোকছেদ আলীর কু নজর পড়ে। বিভিন্ন সময়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করতে থাকে। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৯/০১/২০২২ তারিখে বি আর এস ১০৯১ খতিয়ানে ১ একর ৩৯ শতক সম্পত্তি ভূমিদস্যু মোকছেদ আলীর নেতৃত্বে ভূমিহীন নামধারী বারেক, সাদআলী, শফিকুল, ফারুক সহ তাদের বাহিনীর সদস্য দখল করে নেয়। উপায়ন্তর হয়ে ৫লক্ষ টাকা মোকছেদ আলীর পুত্র রহমত আলীসহ কয়েকজনের কাছে প্রদান করি। কিন্তু পরসম্পদলোভী মোকছেদ আলী ও তার পুত্র রহমত আলী গংকে আরো ৫লক্ষ চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ভূমিদস্যু মোকছেদ আলী স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধার আশ্বাস দেখিয়ে দখলের চক্রান্ত শুরু করে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। বিষয়টি আচ করতে পেরে ১৯/৫/২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় আবেদন করলে আদালত উক্ত সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। এখবর পেরে ২০/৫/২০২২ তারিখ শুক্রবার গভীর রাতে ভূমিদস্যু মোকছেদ আলীর নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী আমাদের উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে বাঁশ খুটি দিয়ে ঘর নির্মান শুরু করে।
খবর পেয়ে আমি আমার দুইপুত্রসহ সেখানে গেলে উল্লেখিত ভূমিদস্যু মোকছেদ আলী, তার পুত্র রহমত আলীসহ তাদের ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্যরা আমাদের উপর হামলা করে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই ভূমিদস্যু মোকছেদ নিজেকে ভূমিহীন দাবি করলেও আদৌ সে ভূমিহীন নন। তার উপজেলা সদরে পাকা টাইলস বিশিস্ট বাড়িঘর রয়েছে। এছাড়া মোকছেদ নিজেকে উপজেলা খাসজমি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য দাবি করে। আসলে মোকছেদ খাসজমি ব্যবস্থাপনা কমিটির কেউ নন। এছাড়া মোকছেদ নিজেকে ভূমিহীন দাবি করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখল করায় তার কাজ। আমি সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাংসদ এস এম জগলুল হায়দার সভাপতি -মরহুম আব্দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক এর নেতৃত্বাধীন ২০০৪ সালের উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির কার্যকরি কমিটির সদস্য ছিলাম। ভূমিদস্যু ভূমিহীন নাম নিয়ে আমার দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছরের দখলীয় সম্পত্তি দখল করেছে। এবিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
উল্টো আমাকেসহ আমার সন্তানদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানিসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এঘটনায় তিনি তার রেকর্ডীয় সম্পত্তি উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।