পাটকেলঘাটা

পাটকেলঘাটায় নারী দিয়ে ব্লাক মেইল করে ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিল রিপন

By daily satkhira

June 02, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধি :পাটকেলঘাটার বহু অপকর্মের হোতা রিপন কর্তৃক নারী দিয়ে ব্লাক মেইল করে মধ্যবয়সী ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের শরিতুল্লাহ সরদারের পুত্র ফান্টু সরদার। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ী। আমার দুইপুত্র এবং একটি প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান রয়েছে।

পাটকেলঘাটা পাচরাস্তার মোড়ে ব্যবসা পরিচালনার সুবাদে তৈলকুপি এলাকার রুহুল আমিন সরদারের পুত্র রিপন সরদারের সাথে আমার পরিচয় হয়। রিপনের সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় তার উপর অগাথ আস্থা ছিলো। রিপন গোপনে ফাঁদ পাতে। আর সে কারনে তার পূর্ব পরিচিতি তৈলকুপি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া সুলতানার সাথে যোগসাজস করে। একপর্যায়ে ওই তানিয়া সুলতানার ছবি এবং আমার ছবি ব্যবহার করে একটি ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে ভূয়া এফিডেভিট তৈরি করে তার সাথে আমি বিবাহ করেছি মর্মে একটি কাগজ প্রদর্শন করে ব্লাক মেইলের মাধ্যমে আমার কাছে ৪লক্ষ টাকা দাবি করতে থাকে।

আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় ওই ভূয়া এফিডেভিটের কাগজ আমার স্ত্রী সন্তানদের কাছে পৌছে দিতে এবং এলাকায় প্রচার করে হয়রানি করবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। আমি লোক লজ্জার ভয়ে লিচুর মৌসুমের ব্যবসার টাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে রিপন এবং তানিয়া সুলতানাকে ৩লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করি।

তারা আবারো টাকা দাবি করতে থাকে। আমার কাছে আর কোন টাকা না থাকায় তাদের টাকা দিতে না পারায় আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক রিয়েলমি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় রিপন। এরপর আবারো টাকা চাইলে না দিতে পারায় ওই ভূয়া এফিডেভিটের কাগজপত্র আমার স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের লোকজনদের কাছে দিয়ে দেয়। এতে পরিবারের অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

অথচ ওই তানিয়ার সাথে আমার কোন সম্পর্ক ইতোপূর্বেও ছিলো না। বর্তমানে নেই। শুধু মাত্র অর্থের লোভে ফাঁদ পেতে রিপন ও তানিয়া চক্র একটি মিথ্যা কাল্পনিক নাটক সাজিয়েছে। এখনো রিপন আমাকে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে চাঁদাদাবি করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন নারী দিয়ে ব্ল্যাক মেইলকারী রিপনের বিরুদ্ধে এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, সংসারে অশান্তি লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, খাস সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে। পরে দোকান নির্মান করে বিক্রয় করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এছাড়া সরকারি গাছকাটাসহ বহু অপকর্মের সাথে রিপন জাড়িত।

ওই রিপনের চক্রান্তে পড়ে আমার জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ হারিয়ে এখন দিশেহারা। আমার সাথে তানিয়ার বিবাহ হয়েছে এটি প্রমান করতে তার পূর্বের স্বামী সিরাজুলকে তালাক দিয়েছে এমন একটি ভূয়া তালাকনামা প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আর এসব কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে পর সম্পদলোভী রিপন। অথচ তানিয়া তার স্বামী সিরাজুল ইসলামের সাথেই এখনো সংসার করে যাচ্ছে। তিনি ওই চক্রের হাত থেকে টাকা ফেরত পেতে এবং তাদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।