প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সুন্দরবন এলাকার প্রতিবেশ ও জীব বৈচিত্র সুরক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত মান উন্নয়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ইসিএ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধনটি বুধবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এনসিআরবি ও সিডিএইসএন আয়োজনে ও সুন্দরবনে ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ আফজাল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেন্ডার ডেভলপমেন্ট ফোরাম সাতক্ষীরার শাখার সভাপতি ফরিদা আক্তার বিউটি, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের প্রেগ্রামার অফিসার রেহেনা পারভীন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন অপরিনামদর্শী কর্মকান্ডের ফলে দেশের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন। তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১০) অনুসারে বিভিন্ন সময়ে কিছু এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনা করেন তার মধ্যে ১৯৯৯ সালে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চর্তুদিকে ১০ কিমি বিস্তৃত এলাকাকে এই ঘোষনার আওয়াতায় নিয়ে আসেন। কিন্ত এই এলাকা রক্ষার জন্য তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বক্তারা আরা বলেন ইসিএ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রাকৃতিক বন ও গাছপালা কর্তন বা আহরণ, সকল প্রকার শিকার ও বন্যপ্রাণী হত্যা,
ঝিনুক, কোরাল, কচ্ছপ, অন্যান্য বন্যপ্রাণী ধরা বা সংগ্রহ, প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংসকারী সকল প্রকার কার্যকলাপ, ভুমি এবং পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট পরির্বতন করতে পারে এমন সকল কাজ, মাটি, পানি, বায়ু ও শব্দ দুষণকারী শিল্প বা প্রতিষ্ঠান স্থাপনা, মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর ক্ষতিরকারক যে কোনো প্রকার কার্যাবলী, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পয়:প্রণালী সৃষ্ট র্বজ্য ও তরল র্বজ্য নির্গমন এবং কঠিন বর্জ্য অপসারণ, যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পাথরসহ অন্য যে কোনো খনিজ সম্পদ আহরণ করবার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও সময়ের ব্যবধানে মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, পাশর্^বর্তী বাজার ও জনগোষ্ঠী পলিথিন-প্লাষ্টিকসহ নানান অপচনশীল ও ক্ষতিকর বর্জ্য ফেলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন প্রক্রিয়াকে পরিবেশ দূষণের দিকে তরান্নিত করছে। যা এই অঞ্চলের পরিবেশবাদী জনগোষ্ঠী মনে করে এই সুষ্ঠু তদারকই মাধ্যমে পরিবেশ-প্রকৃতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পেরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।