আশাশুনি প্রতিনিধি: গত (০৯ জুন) বুধবার সকাল ১০টার দিকে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের ধাপুয়ার খালে শপিং ব্যাগের ভিতরে ভাসমান অবস্থায় থাকা এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। লাশটি উদ্ধারের পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার গুঞ্জন উঠেছিল। তারই প্রেক্ষিতে তিনদিন পর সাংবাদিকদের তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসলো তার সঠিক তথ্য। এ ঘটনায় হোসেনপুর গ্রামের মৃত অনাল সরকারের ছেলে উৎস সরকার (১৪) সাংবাদিকদের জানান, আমার পিতা মারা গেছে এখান থেকে প্রায় ১০ বছর আগে। সেখান থেকে বেশ কিছুদিন আমার মা ভালো ছিল। আজ প্রায় এক বছর যাবত দেখছি রাতের অন্ধকারে প্রায় আসতো আমাদের ঘরে অধার সরকারের ছেলে মহাদেব সরকার। আমার মা চন্দ্রা রানী সরকারের সঙ্গে মহাদেব সরকারের অবৈধ সম্পর্ক ছিল এবং মেলামেশাও করতো। এমনকি আমি যদি রাতে প্রসাব করতে যাওয়ার কথা বলতাম তাও আমাকে ঘরের বাইরে যেতে দিত না। এছাড়া আরো বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার মা পেট ব্যাথা তে ছটফট করছিল। তখন আমি আমার মায়ের পেটে হাত দিয়ে বুঝতে পারলাম যে পেটের ভিতর একটা বাচ্চা রয়েছে। তখন আমার মা আমাকে বলল হ্যাঁ সত্য তবে আমি ঔষধ খেয়েছি বাচ্চাটা নষ্ট করার জন্য। তুই কাউকে কিছু বলবি না। তবে (৮ জুন) মঙ্গলবার সাড়ে ৬টার দিকে আমার জেঠিমা মৃণাল সরকারের স্ত্রী দীপ্তি রানী সরকার ও ঠাকুরমা তুলসী সরকার আমার মা’কে নিয়ে বুধহাটায় ক্লিনিকে গেছিল বাচ্চাটাকে এবশন করার জন্য। এ ব্যাপারে তার জেঠিমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রশান্তর ইজি বাইকে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম বুধহাটায় ক্লিনিকে কুল্যার মোড়ের একটু আগে ইজিবাইকের ভিতরে বাচ্চাটা ডেলিভারি হয়েছিল। ওখান থেকে ফিরে আসার পথে সন্ধ্যায শপিং ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে ধাপুয়ার খালে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছিল। এ ব্যাপারে চন্দ্রা রানী সরকার সাংবাদিকদের সাথে ঘটনার স্বীকার করে বলেন, একটা ভুল হয়ে গেছে তাই বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে চলে আসছি। অভিযুক্ত মহাদেব সরকারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনা এই শিশু হত্যা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই অবৈধ নবজাতক ও শিশু হত্যার তদন্তপূর্বক সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।