নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও ডিক্রি দ্বারা বারিতাদেশ উপেক্ষা করে সম্পত্তি দখল চেষ্টায় মারপিট খুন জখম ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীলা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা সদরের শিবতলা, মাছখোলা এলাকার মোরশেদ আলী বকুল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন মাছখোলা মৌজায়, সি এস ৭৮৭ এস এ ৯৫৯ নং খতিয়ানে .৬৫ একর সি এস ১১৬৯ এস এ ১৩৩৭ নং খতিয়ানে .৭০ একর, সি এস ৩৮২ এস এ ৪৫২ নং খতিয়ানে .৮০ একর একুনে ২.১৫ একর জমি মৃত আলেক গাজীর কোবলা খরিদা সূত্রে ও রায় ডিক্রি মূলে প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করাকালে আহ্লাদী বিবিসহ অন্যান্য ব্যক্তিগণ আলেক গাজীর দখলে বাধা সৃষ্টি করলে আলেক গাজী সাতক্ষীরায় বিজ্ঞ ২য় মুনসেফি আদালতে ২২৬/৫৭ নং মামলা দায়ের করে।
৮ জানুয়ারি ৬০ তারিখে ডিক্রি প্রাপ্ত হন এবং আলেক গাজী ডিক্রি মূলে আদালতের মাধ্যমে সম্পত্তি বুঝে নেন। তিনি উক্ত ২.০০ একর সম্পত্তি তার ৪পুত্র আহাদ আলী গাজী, নুর আলী গাজী, শহরালী গাজী ও আলি হোসেন গাজী বরাবর রেজি: দানপত্র দলিল মূলে হস্তান্তর করেন। চার ভাই ভোগদখলি থাকাকালে বিবাদীপক্ষ আহ্লাদী বিবিসহ তার সহযোগিরা ভোগদখলে বাধাগ্রস্থ করলে বাদী পক্ষ চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রাপন দেং-৩৯৫/৯১ নং মামলা দাখিল করেন।
দোতরফা সূত্রে দেং ৩৯৫/৯১ নং মামলায় গত ৩১ অক্টোবর ৯৩ তারিখে রায় ও ৬ নভেম্বর ৯৩ তারিখে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রি প্রাপ্ত হন। এদিকে আহ্লাদী বিবি অসহায় গরিব এবং ভিক্ষা বৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহের কারনে তার কোন জমি না থাকায় বিজ্ঞ বিচারক ২২৬/৫নং মামলার রায় ও ডিক্রি মতে ২.১৫ একর ভূমির মধ্যে .১৫ একর ভূমি আহ্লাদী বিবি প্রাপ্ত হন। সে মোতাবেক উক্ত ১৫ শতক সম্পত্তি আহ্লাদী বিবির ওয়ারেশ আমেনা দখলে আছেন।
সম্প্রতি বাদী পক্ষে দখলীয় ভূমি বি এস ৪৮৯ নং খতিয়ানে আহ্লাদী বিবির ৩৭০ হিস্যা আমেনা খাতুনা ৪৯২ হিস্যায় মোট ১.৮৫ একর ভূমি ভ্রমাত্মকভাবে রেকর্ড হওয়ায় উল্লেখিত বিবাদী পক্ষ সিরাজুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, আব্দুস সালাম মোল্ল্যা ও শহীদুল ইসলাম গং বাদীপক্ষকে তাদের দখলীয় সম্পত্তি ভোগদখলে বাধা দেওয়ার হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করেন। এসময় ৩১ অক্টোবর ৯৩ তারিখে রায় ও ৬ নভেম্বর ৯৩ তারিখে ডিক্রির দ্বারা বারিত আদেশের বিষয়টি উপস্থাপন করলে বিবাদী পক্ষ রায় ও ডিক্রি তাচ্ছিল্য করে খুন জখম সহ উক্ত সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ইতোমধ্যে উক্ত ভ্রমাত্মক রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলাও করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন উক্ত সম্পত্তি স্বত্বদখলীয় মালিক আলেক গাজীর ওয়ারেশ আলী হোসেন গংয়ের নিকট থেকে রসুলপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র এম. ফারুক আহমেদ ২.০০ একর সম্পত্তির মধ্যে থেকে ৪.৬০ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে দখলে আছেন। কিন্তু উক্ত ভ্রমাত্মক রেকর্ডের বুনিয়াদে সিরাজুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, আব্দুস সালাম মোল্ল্যা ও শহীদুল ইসলাম গং ঐ সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। আমাদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাদি মামলা দায়ের করে। এমনকি আলেক গাজীর ওয়ারেশগণের নিকট থেকে সম্পত্তি ক্রয়করায় এম ফারুক আহমেদের নামে মামলা দায়ের করে। আদালতের বারিতাদেশ উপেক্ষাকারী সিরাজুল গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।