নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার মাহমুদপুরে জনবসতিপূর্ণএলাকায় সততা রাইচ মিলের ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচা পানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, মাহমুদপুর গ্রামবাসীর পক্ষে আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র আবু রায়হান।
আমরা মাহমুদপুর এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। সম্প্রতি মাহমুদপুর মাস্টার এলাকার মৃত. মোকলেছুর হাজীর পুত্র নূরনবী সততা রাইচ মিল নামে একটি রাইচ মিল প্রতিষ্ঠা করে। মিলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত মিলের ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচা পানিতে এলাকা দূষিত হয়ে পড়তে থাকে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার এ বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুর নবী তালবাহানা করতে থাকে। অথচ মিলের ছাই ও তুষের গুড়া উড়ে মাহমুদপুর গ্রামসহ ভোমরা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে পড়ে।
বিশেষ পার্শ্ববতী বাসিন্দাদের বাড়িঘরে ভরে যাচ্ছে। এতে করে পাশ্ববর্তী বাসিন্দাদের পরিবারের শিশু, বৃদ্ধাসহ সকল বয়সী মানুষে শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে অত্র এলাকায় বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন ছাই ও তুষের গুড়া উড়ে রাস্তার আসার কারনে রাস্তায় চলাচলকারী চালক ও যাত্রীদের চোখে মুখে পড়ে। ফলে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
মিলটির ছাই, তুষের গুড়া ও পঁচা পানির গন্ধে এলাকার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। পরিবেশ মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে। অসুস্থ্যতার হার বেড়ে যাচ্ছে। এনিয়ে আমার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিপ্তরেও অভিযোগ দায়ের করেছি। ছাই চোখে পড়ে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নূরনবী পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনা নীতিমালা না মেনে জনবসতীপূর্ণ এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ওই মিলটির ছাই ও তুষ উড়ে পড়া বন্ধপূর্বক এলাকার পরিবেশ দুষণ মুক্ত করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মো: আনারুল ইসলাম, মো: মমিনুর ইসলাম ও মো: আবু হাসান।