নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় কোভিড-১৯ মহামারীসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪ হাজার ৪৩ জন উপকারভোগীদের মাঝে ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৭ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরন করা হয়েছে। সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার আশাশুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আফম রুহুল হক।
এর আগে সকালে তালা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা-১ (তালা+কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে পৃথক এই তিনটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসডিএফ’র চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ, এসডিএফ’র পরিচালক অপারেশন্স মোঃ গোলাম মোস্তফা, আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ হেদায়েত উল্লাহ, পরিচালক ফিন্যান্স মোঃ মাহবুবুল আলমসহ স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গণ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তালা, কলারোয়া আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার কোভিড-১৯ মহামারীসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এই পাঁচটি উপজেলার ৩৪ হাজার ৪৩ জন উপকারভোগীদের মাঝে ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১৭ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরন করা হয়েছে। এর মধ্যে কালিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায় ১১ হাজার ৬৬০ জন উপকারভোগীকে ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, তালা উপজেলার ৮ হাজার ৯৯৪ জন উপকারভোগীর মাঝে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ টাকা বিতরন করা হয়। বাকী ৭ কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকা কলারোয়া ও শ্যামনগর উপজেলার উকারভোগীদের মাঝে বিতরন করা হয়। বক্তারা এ সময় বলেন, বর্তমানে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সেনারবাংলা গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ^ ব্যাংকের সহায়তায় ৫ বছর মেয়াদী ৩৪০ মার্কিন ডলার বরাদ্দের জিলিয়েন্স, এন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ আ্যান্ড লাইভলীহুড ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ৫ অক্টোবর-২০২১ থেকে শুরু হয়েছে। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, কোভিড-১৯ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থণীতিকে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়া এবং প্রকল্প এলাকা গ্রামীন উদ্যোক্তাদের সহায়তাকরন এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য যা বাংলাদেশ সরকারের রুপকল্প ২০৪১, এসডিজির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যসমুহ ও ৮ম পঞ্চবার্ষির্কি পরিকল্পনায় লক্ষ্যমাত্র অর্জনে সহায়তা করবে।