নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরায় প্রায় ১’শ বছরের ভোগ দখলীয় সংখ্যালঘুর সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের কুলতলী গ্রামের কালিপদ ঘোষের পুত্র ভুক্তভোগী অরবিন্দু ঘোষ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরার হাবাসপুর মৌজায় এসএ ২১ নং ও হাল ১৯৫ ও ১৭ নং খতিয়ানে ৩১২, ৩১৪, ৩১৩ দাগে ৮ একর ১৮ শতকের মধ্যে ৪৫ শতক সম্পত্তি বিগত ২৪/১১/১৯৩৪ সালে বাংলাদেশ সরকার নিলাম করলে শহরের ইটাগাছা গ্রামের উপেন্দ্র ঘোষ উক্ত সম্পত্তি নিলাম ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় বিগত ১৭/০৭/১৯৩৫ তারিখে কুলতিয়া গ্রামের পঞ্চানন ও জ্যোতিন্দ্র ঘোষের কাছে বিক্রয় করে।
পরবর্তীতে পঞ্চানন ও জ্যোতিন্দ্র ঘোষ ভোগদখলে থাকা অবস্থায় ১৯৬২ সালে এস এ এর মালিক হন। তাদের পিতা চন্ডিচরনের ৪ পুত্র যথাক্রমে পঞ্চানন, জোতিন্দ্র, সতিন্দ্র ও কালিপদ। পরবর্তীতে চার ভাই একই সংসারে থাকাকালে বিগত ১৯/১২/১৯৬৯ সালে উক্ত সম্পত্তি ৪ ভায়ের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হয়। যার রেজিস্ট্রি বন্টননামাও রয়েছে। সে অনুযায়ী কালিপদের ওয়ারেশ হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ১’শ বছর ধরে আমরাসহ অন্যান্য শরিকরা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি আশাশুনি উপজেলার গুনাকরকাটি গ্রামের মৃত মোছেল উদ্দীন সানার পুত্র জিয়াউর রহমানগং উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করে। একপর্যায়ে গত ৪ জুলাই ২০২২তারিখে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে কুল্যা গ্রামের ওজিয়ার সরদার,
ওজিয়ার সরদারের পুত্র রবিউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, গুনাকরকাটি গ্রামের মোসেল উদ্দীন, হাবাসপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, ভালুকাচাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মুজিদ, আব্দুল আজিত, জোড়দিয়া গ্রামের আব্দুল গফুর, হাবাসপুর গ্রামের আব্দুল মোমিন, শ্বেতপুর গ্রামের আব্দুল গফুরসহ কতিপয় সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় আমাকে, আমার ভাইপো সঞ্জয়, ভাই জগবন্ধু ঘোষ, দীনবন্ধু ঘোষ, অশোক কুমার ঘোষকে মারপিটের হুমকির ধামকি প্রদর্শন করে। তিনি আরো বলেন, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এবং নিরিহ প্রকৃতির হওয়ায় উল্লেখিত জিয়াউর গংয়ের সন্ত্রাসীর বাহিনীর সামনে যেতে সাহস পায় না। এখন নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে যেতেও ভয় পাচ্ছি। তাদের হুমকি ধামকিতে আমার আতংকিত হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। জিয়াউর গং হুমকি দিয়ে বলছেন আমাদের উচ্ছেদ করে ভারতে তাড়িয়ে দিয়ে দিবে। প্রয়োজনে ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে খুন গুমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে। সংবাদ সম্মেল থেকে তিনি এ সময় উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।