আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত বাঁকড়া ব্রীজটি মাঝ বরাবর ডেবে গিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্রীজটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে সতর্ক ও অনুরোধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান।
এসময় স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, এজন্য সময় লাগবে। উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই সোমবার গভীর রাতের কোন এক সময়ে বাঁকড়া ব্রীজটির মাঝ বরাবর ভেবে দু’দিকের সংযোগ সড়ক থেকে আংশিক বিচ্ছিন্ন হয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের ব্যবহারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
মরিচ্চাপ নদী খননের কারনে খননকৃত নদীর প্রস্থ ১৮০ ফিটের তুলনায় ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ৬০ ফিট হওয়়ায় এবং ব্রীজের প্লিয়ারের পাশ থেকে বালু এবং মাটি সরে যাওয়ায় ব্রীজটির একাধিক স্থানে ফাটল ধরে দূর্বল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।
অন্যদিকে পাইথালী টু কালিবাড়ি বাজার সড়কের বেহাল দশা, কামলকাটি(শালখালী বাজার) ব্রীজটি অনুরূপ ভাবে ডেবে এবং সর্বশেষ বাঁকড়া ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় এ অঞ্চালে মাঝারী বা ভারী যানবাহনের যাতায়াতের আর কোন উপায় বাকি রইল না।
এছাড়া গোড়া কামালকাটি ব্রীজ পার হয়ে ওয়াবদা রাস্তা কাঁচা থাকায় কুঁন্দুড়িয়া পি এন মিধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা প্রতিষ্ঠানটির কামালকাটি ও বাঁকড়াসহ এ অঞ্চালের শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম বিপাকে। এমতাবস্থায় নতুন ব্রীজ নির্মাণ যেহেতু সময়ের ব্যাপার সেহেতু দ্রুত ছোট যানবাহন ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের বিকল্প পথ বের না করতে পারলে অসহায়ত্বের মধ্যে দিন যাপন করতে হবে এ এলাকার জনসাধারণের। বড় কোন দূর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় এখানে যতদ্রুত সম্ভব কাঠ অথবা বাঁশের সেতু তৈরির জন্য উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ###