নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত মহিলা এমপি পুত্র রাশেদ সরোয়ার রুমনকে চাঁদাবাজির দুটি পৃথক মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা জেলার গ-ি ছাড়িয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় চলে এসেছেন সাংসদ মিসেস রিফাত আমিন ও তার পুত্র রুমন। তাদেরকে নিয়ে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম হয়েছে রবিবার। এর আগে স্থানীয় দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার প্রথম পৃাতায় ৬ কলামজুড়ে প্রধান শিরোনাম হয়েছেন মা ও পুত্র। নিজের পুত্রের অপকর্ম অকপটে অস্বীকার করে উল্টো জেলা আ.লীগের নেতাদের ‘সাইজ’ করতে চাওয়া সাংসদ মিসেস রিফাত আমিন! পুত্রধন চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরও তার অদ্ভুত বক্তব্যÑ “সংসদ থেকে আমার কাছে ফোন এসেছে। বলা হয়েছে সব ভাল এমপিদেরই একজন আপনি। আপনার ও আপনার ছেলের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে সবই মিথ্যা ও অপপ্রচার।” সংসদ থেকে কে ফোন করেছেন তা অবশ্য বলেননি তিনি। সম্ভবত সংসদ কথা বলতে পারছে এখন! নিজের পাসপোর্ট নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যাবার সময় শহরের চৌরঙ্গী মোড় থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আলি আহমেদ হাসমীর নেতৃতে সাদা পোশাকধারী একদল পুলিশ রোববার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তিনি স্থানীয় মিজানুর রহমানের ভাড়াবাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। রাশেদ সরোয়ার রুমন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন ৩১২ এর আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিনের ছেলে। মা একজন সংসদ সদস্য এবং তিনি বহু বছর ধরে কাউন্সিল না হওয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীÑ এই পরিচয় ভাঙিয়ে তার মায়ের লাইসেন্সেকৃত অস্ত্র নিয়ে রুমন শহরে ও শহরের বাইরে দাপট দেখিয়ে আসছিলেন। একই সাথে চোরাচালানী ও সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্য স্থাপন করে শহরে একটি বাহিনী গড়ে তোলেন রুমন। রাতে দিনে সব সময় ওই বাহিনী শহর জুড়ে মাদক গ্রহণ, নারী নিয়ে অসামাজিক কাজ এবং তা-ব চালিয়ে আসছিল। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, “রুমন গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুলফিকার রহমান উজ্জ্বলকে রড-হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর থেকে রুমন গাঢাকা দিয়ে চলছিল। বেশিরভাগ সময় সে বাড়ির বাইরে পালিয়ে থাকতো।” যদিও সমস্ত সাতক্ষীরা জেলার মানুষ বিষ্ময়ের সাথে লক্ষ করেছে পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে রুমন একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছিল। মামলার পরও সাংসদ মায়ের প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে প্রথম দিকে গ্রেফতার না করায় সে একের পর এক বেআইনি কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছিল প্রকাশ্যে। আর তার এসব কাজে সরাসরি উপস্থি থেকে সহযোগিতা করেছেন তার মা সাংসদ রিফাত আমিন নেজেও। এর আগে রুমন শহরের অদুরে বেনেরপোতায় পদ্মা হ্যাচারী নামের একটি চিংড়ি পোনা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে যেয়ে অস্ত্র দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই চাঁদা না দেওয়ায় তিনি তাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি ২১ হাজার টাকা তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে জোর করে তুলে আনেন এবং প্রতিষ্ঠানটির মালিক সিরাজুল ইসলাম বুলেটকে মারপিট করে আহত করেন। এ ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল। এরপরও গ্রেফতার না হওয়ায় রুমন নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েন। সদর ধানার ওসি আরও জানান, রুমনের বিরুদ্ধে আরও অন্ততঃ ১০টি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে দুপুরেই কোর্টহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তার জামিন আবেদন নাকচ করে সাতক্ষীরা সদর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল ইসলাম তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বহু ঘটনার খলনায়ক রুমন: বেশ কয়েকবছর আগে সৌদি আরবে থাকতেন রুমন। সেদেশে নানা ধরনের অপকর্ম করতে থাকায় সৌদি সরকার তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে। সে দেশে রুমন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ে। দেশে ফেরার পর রাজধানী ঢাকায় রুমন মাদকসহ ধরা পড়ে কিছুদিন জেল খাটে। এ ঘটনার কিছুদিন পর রাশেদ সরোয়ার রুমন সাতক্ষীরা শহরের বিউটি হোটেলে এক নারীসহ হাতেনাতে আটক হয়। সে যাত্রাও নানাভাবে পুলিশকে ম্যানেজ করে পুত্রকে ছাড়িয়ে নেন মা, পার পেয়ে যান রুমন। শহরে বেপরোয়া বেগে মোটর সাইকেল চালিয়ে কৃতিত্ব দেখাতে থাকে রুমন। এ ছাড়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজের মায়ের প্রাইভেট কার চালিয়ে প্রায়ই বাহাদুরি দেখায় সে। গত জানুয়ারি মাসে রুমন রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রাইভেট চালিয়ে যাবার সময় ইকবাল হোসেন নামের একজন শিক্ষক তাকে পাশ কাটিয়ে যাবার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুমন গাড়ি থেকে নেমে তাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ফেলে রেখে যান। ভীত সন্ত্রস্ত ওই শিক্ষক মার খেয়েও তা হজম করে যান। সাতক্ষীরা শহর ও শহরের বাইরে চাঁদাবাজিও করেন রুমন। বহুবিবাহ ছাড়াও তার রয়েছে অসংখ্য নারী বন্ধু। গত ১৯ মে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জের অভিজাত রিসোর্টে তিন তরুনিসহ রুমন সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো তার মার গাড়ি নিয়ে হাজির হন। সেখানে একটি কক্ষে যেয়ে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এ সময় তার কাছে তার মায়ের লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও ৪৩ রাউন্ড গুলি ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে ধরতে গেলে তিনি পুলিশকে গুলি করতে উদ্যত হন। বেসামাল অবস্থায় তাকে থানায় নিয়ে আসতেই তার মা সাংসদ রিফাত আমিন তাকে ছাড়াতে রাতভর তদবির করেও ব্যর্থ হন। তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অস্ত্র ব্যবহার, জাতীয় সংসদের স্টিকারযুক্তগাড়ি ব্যবহার, নারী নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক গ্রহণ এবং বেপরোয়া বেগে গাড়ি চালানোসহ নানা ধারায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশ তার মায়ের রাাজনৈতিক দাপটে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত মোটর যান আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়। কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে আসেন তিনি। রাশেদ সরোয়ার রুমন শহরের গোল্ড স্মাগলার মিলন পালের সাথে সখ্য গড়ে তার চোরাচালানের অংশীদার হন। এই সুযোগ ব্যবহার করে মিলন পালের মাগুরা বাঁশতলার বাগানবাড়িতে বালাখানা তৈরি করে প্রায়ই নারী নিয়ে রাত্রিযাপন করতে থাকেন। গত ৭ জুলাই মিলন পালের সাথে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়া ভারতীয় গরুর ব্যবসায়ী সাহেব আলিকে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে রুমন ওই বাগান বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পাঁচ লাখ টাকার চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেন রুমন ও তার সহযোগী মিলন পাল। এদিকে গত ১১ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমানে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জুলফিকার রহমান উজ্জ্বলকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করেন রুমন ও তার বাহিনী। এ ঘটনার কিছু সময় পর রাত ১০ টায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার মায়ের ব্যবহৃত জঅঠ-৪ মডেলের একটি মিনি পাজেরো চালিয়ে ভোমরা সীমান্ত অভিমুখে যাবার সময় একটি কালভার্টে আঘাত করে দুর্ঘটনায় পড়েন। এ সময় তিনি বিধ্বস্ত গাড়িটি ফেলে রেখে ভেতর থেকে গুলি ভর্তি পিস্তল ও তার সাথে থাকা এক তরুনিকে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। রাতে তিনি তার সোনা চোরাচালান পার্টনার মিলন পালের বাগানবাড়িতে ওই তরুণীকে নিয়ে অবস্থান করেন। এদিকে পরদিন সকালে এ খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে ঘেরাও করেন। এ সময় জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মান্নান, সাতক্ষীরার অ্যাডভোকেট তামিম আহমেদ সোহাগ এবং পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় গণপিটুনিতে রুমন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং অসংখ্য থাকার পরও পুত্র ¯েœহে অন্ধ এবং সকল অপকর্মের পরও পুত্রকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করা মা সাংসদ রিফাত আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, তার পুত্র না কি মিলনের বাগানবাড়িতে যায়ই নি! সে নাকি মায়ের সাথে বাড়িতে ছিল। এদিকে এ ঘটনার রাতে রুমন ও তার মা ওই বাগানবাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরদিন সকালে রুমন মিলনের সুলতানপুরের বাড়িতে যেয়ে তার মা কল্পনা রানীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং বাড়ির চাবি চান। পরে রুমন তার মা ও সহযোগীদের নিয়ে মিলন পালের বালাখানা বাড়ির গেট ভেঙে ঘরে ঢোকেন এবং সেখানে রেখে আসা তার মায়ের পিস্তল ও গুলি ছাড়াও কয়েক লাখ টাকা নিয়ে আসেন। এর পরপরই তার স্ত্রী পরিচয়দাতা বেলী মিলন পালের এলিয়ান প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে আরও টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র বের করে আনেন। মিলন পালের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, তাদের বাড়িতে পালিত বিদেশি জাতের ১৩ টি গরু রুমন বের করে বিক্রি করে দিয়েছেন। এর দুটি এবার কোরবানি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে মিলন পাল গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেল আটক থাকার সুযোগে তাদের সহায় সম্পদ লুটপাট করার কাজে নেমেছেন রুমন। এই অভিযোগ করে মিলন পালের স্ত্রী শম্পা রানী পাল বলেন, তার স্বামীকে জেল থেকে বের করতে রুমন ২০ লাখ টাকা নগদ নিয়েছেন। এছাড়া আরও ১০ লাখ টাকা অথবা তাদের ব্যবহৃত এলিয়ান প্রাইভেটকারটি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে মিলন পাল সম্প্রতি একজন স্বামী পরিত্যক্তা তরুণীরকে বিয়ে করেছেন বলে শোনা গেছে। ওই তরুণীর মায়ের কাছে গিয়ে নিজের সাংসদ মায়ের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে মিলনকে ছাড়িয়ে দেয়ার নাম করে রুমন টাকা চান। এক পর্যায়ে সিলনের কথিত স্ত্রীর মা পিংকি জুয়েলার্সে গহনা বন্ধক রেখে ১ লক্ষ এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ধার করে আরও ২ লক্ষ ৮৬ হাজার, মোট ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা রুমনের হাতে তুলে দেন। পুলিশকে দেয়ার নাম করে পুরো টাকাটাই পকেটস্থ করে রুমন। এমনকি মিলনের এলিয়ন প্রাইভেট কারটি ওই তরুণীকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে নিয়ে নেয় রুমন। গাড়িটি বর্তমানে গ্লাস ভাঙা অবস্থায় মিলনের বাগানবাড়িতে আছে। এদিকে আরও অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে রুমন একটি ২৫০ টাকার সাদা স্ট্যাম্প নিয়ে সাতক্ষীরা জেলে সোনা চোরাচালানী মামলায় আটক মিলন পালের কাছ থেকে জেলগেটে যেয়ে গোপনে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরদিন একই উদ্দেশ্যে অপর এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে জেলগেটে পাঠালে কারারক্ষীরা সাদা স্ট্যাম্পটি তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে জব্দ করেন। এসব বিষয়ে জানবার জন্য রুমনের মা সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এই প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে রুমন ভাল ছেলে। শ্যামনগরে গাড়ি একটু জোরে চালিয়েছিলো তাই একটি মামলা হয়। এছাড়া সাহেব আলী, যুবলীগ নেতা উজ্জ্বল এবং শিক্ষক ইকবাল হোসেনসহ কাউকে সে মারধর করেনি। উজ্জ্বল আমাকে বলেছে রুমন দায়ী নন। তাছাড়া মিলন পালের সাথে তার ব্যবসায়ীক সম্পর্ক রয়েছে, একসঙ্গে তারা গরু খামারও করেছে।” জেলগেটে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর বিষয় তিনি অস্বীকার না করেই বলেন, “মিলন আমার ছেলের নামে তার এলিয়ান প্রাইভেট গাড়ি এবং মাগুরা বাগানবাড়ি লিখে দিয়ে গেছে। জেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা করা হয়।” তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরায় একটি চক্র কিছু ঘটলেই তার সাথে আমার রুমনের নাম জড়িয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগের জন্য অনেক কাজ করছি। এতে আমার দলের লোকজন ঈর্ষাণি¦^ত হয়ে অপপ্রচারে নেমেছে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “সংসদ থেকে আমার কাছে ফোন এসেছে। বলা হয়েছে সব ভাল এমপিদেরই একজন আপনি। আপনার ও আপনার ছেলের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে সবই মিথ্যা ও অপপ্রচার।”