কালিগঞ্জ

উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা

By Daily Satkhira

August 22, 2016

এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু: উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অবগত হলেও অজ্ঞাত কারণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত ২০ আগষ্ট বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে উত্তর কালিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্যাগে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কবিতা পাঠের আসরে যেয়ে বিদ্যালয়ের  ভবন ও ছাদের বেহাল অবস্থা চোখে পড়ে। ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা ধ্বসে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে লোহার রড। এদিন ‘কবিতা রুখবেই জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আসরের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্থ ভবন পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিমুল কুমার সাহা, কালিগঞ্জ কলেজের সাবেক অধ্যাপক বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, সাবেক অধ্যাপক মুনসুর আলী, অধ্যাপক আব্দুল খালেক, অধ্যাপক শ্যামাপদ দাশ, সোহরাওয়ার্দী পার্ক কমিটির সদস্যসচিব এড. জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তুহিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শিমুল, রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এসএম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ঘোষ জানান, ১৮৮৫ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়টিতে ৩৬৬ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এখানে ১১ জন শিক্ষকের স্থলে রয়েছে ৮ জন। এরপরও বিগত সমাপনী পরীক্ষায় ৬ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করেছে। তিনি আরও জানান, সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয় চত্ত্বরে পানি জমে যায়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিকুলতার মধ্যে পাঠ গ্রহণ করতে হচ্ছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত এই বিদ্যালয়টি অবকাঠামো নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয় চত্ত্বরের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ থাকলেও বর্তমানে একটি প্রভাবশালী মহল সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয় চত্ত্বরে পানি জমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্দশা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে অতি দ্রুত বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা নিরসনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।