সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির প্রতিবাদ সভা

By daily satkhira

July 20, 2022

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫ টায় সাতক্ষীরা লাবনী মোড়স্থ শহীদ স ম আলাউদ্দীন চত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলি। জেলা ভুমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজীর সঞ্চলনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী শেখ ফারুক হোসেন, সাংবাদিক সেলিম হোসেন, জেলা ভুমিহীন সমিতির নেতা শেখ শওকত আলী, শেখ হাফিজুর রহমান, মীর আশিক ইকবাল (বাপ্পী), শেখ রিয়াজুল ইসলাম, ভূমিহীন নেত্রী শাহানারা খাতুন রিনা, সাহিদা আক্তার প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরাবাসির জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃক নদী ও খাল খননে ৪৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু এখানকার ঠিকাদাররা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্তৃকপক্ষের যোগসাজসে নদী খননে নামে সাতক্ষীরা মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে নদী গভীরতা না করে বেড়িবাঁধ উঁচু করে নদী খননে কাজ যেনতেন করে দায়সারের চেষ্টা করছেন তারা। তাই অবিলম্বে বেতনা মরিচচাপ খননের জন্য বাজেট সঠিকভাবে খননের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কিন না তার জন্য সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং কার্যক্রম সমন্বয় ও গতিশীল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সমন্বয়ে একটি ফোরাম গঠন করতে হবে। যেকোন ধরণের বিপর্যয় এড়ানোর জন্য নির্ধারিত সময়ে বেতনা, মরিচচাপ খনন ও পার্শ্ব খালের সাথে সংযোগটি আর এম, বাস্তবায়ন টেকসই বেড়িবাঁধ অসহায় ভূমিহীনদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করতে হবে। মজুমদার খালের কুচুরিপনা ও ময়লা আবর্জনা ভরে গেছে। দ্রুত মুজুমদার খাল খনন বাস্তবায়ন করতে হবে।

নদীর গভীরতাসহ বেড়িবাঁধ টেকসই করতে হবে। টিআরএম বাস্তবায়ন না হলে সরকার বেতনা ও মরিচচাপ খনন করার পর কোন আশার আলোর মুখ দেখবে না। অববাহিকার মানুষ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। পাখিমারা বিলের জমিতে যে টিআরএম চালু করা হয়েছে। কিন্তু সেই সব জমির মালিকদের কোনো ক্ষতিপুরন দেওয়া হয়নি। ক্ষতিপুরুন টাকা লুটপাট করেছেন। তাই না হলে ক্ষতিপুরুনের সরকারি টাকা গেলো কোথায়! অবিলম্বে টিআরএম চালুর জমির মালিকানাদের ক্ষতিপুরুন দিতে হবে। জেলার সেসব উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়ি বাঁধের কাজ করা হয়েছে সেসব অঞ্চলের বাঁধের কাজের ব্যাপক অনিয়ম করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড । যার কারনে প্রত্যেক বছরে উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ ভেঙে যায়। আর সরকারের কোটি কোটি বরাদ্দ টাকা পানিতে ভেসে যায়। ফলে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর পানি বন্দী হয়ে পড়ে তাদেরকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবুর নামে এক পিয়ন তার ভাইয়ের কাছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপনের কাজপত্র দুনীতি ফাঁস করে দেয়। আর ওই সবুর পিয়নের ভাই বিভিন্ন সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রতিবছর ফয়দা লুটায় বলে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন। বক্তরা আরো বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের জনবল বৃদ্ধি করতে হবে। বিগতদিনে ভুমি অফিসের দুনীতিবাজরা মুজিববর্ষ গৃহহীন ঘর বন্ঠনে নয় ছয় করেছে। প্রকৃত ভুমিহীনদের ঘর না দিয়ে ভুমি অফিসের দুনীতিবাজরা ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুমিহীন বানিয়ে তাদেরকে ঘর ও জমি দিয়েছেন। বিনেরপোতাসহ সাতক্ষীরায় অনেক খাস জায়গা রয়েছে। কিন্তু ভুমি অফিস খাস জায়গা উদ্ধার না করে ঘর দেওয়ার নামে ভুমি অফিস কর্তৃক মালিকানা জমি কিনে ভুমি অফিস কর্তৃক সরকারে কাছ একটি ফয়দা লুটার চেষ্টা করছেন। বিনেরপোতা ব্রিজের পাশে একটি খাস জায়গা রয়েছে। ওই সরকারী খাস জায়গাটি দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া এলাকার রাফসান গ্রুপের মালিক প্রভাবশালী কবির হোসেন ও হাসানকর্তৃক ভুমি অফিসের সহযোগিতায় ওই সরকারী জায়গা দখল করে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ঘর নির্মাণ করে রেখেছেন। এছাড়াও প্রভাবশালী কবির হোসেন ও হাসানের ইন্ধনে ওই খাস জায়গায় বসবাসকারী খায়রুল ইসলাম, তোতা, মুক্তা সহ কয়েকজন ভুমিহীনদের উচ্ছেদ করে দিয়েছে প্রশাসন। আর উচ্ছেদের পর সেখানে প্রভাবশালী কবির হোসেন ও মিলনকর্তৃক আরো ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করছেন। তাই এসব ভুমিদৃশ্যদের হাত থেকে দখলকৃত সরকারি খাস জায়গাগুলো উদ্ধার করে আশ্রয় প্রকল্প আওতায় মুজিববর্ষ গৃহহীন ঘর প্রকৃত ভুমিহীনদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে বলে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা ব্যাক্ত করেন। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এসব বাস্তবায়নের দাবিসহ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানান বক্তারা।