কে এম শাহীনুর রহমান : তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গতকাল ১১ জুন তালা সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল উৎখাতে প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। এ সময় প্রশাসনের তৎপরতা আঁচ করতে পেরে বাঘা বাঘা প্রতারক -দালালরা গা-ঢাকা দেয়। অভিযানের সময় পুলিশ সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে কথিত মহুরী- দালালদের তৈরী করা টিনসেট’র আস্তানা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ধন্যবাদ জানিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সেটেলমেন্টের দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়, বলে জনা গেছে। জানাযায়, প্রশাসনের তৎপরতায় মাঝেমধ্যে গা-ঢাকা দিলেও ঘাপটি মেরে থাকা এসকল প্রতারক চক্র আবারও প্রকাশ্যে ভুয়া কেস সৃষ্টি, জাল-জালিয়াতি কাগজ-পত্র দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করে সাধারণ মানুষের ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। জাল-জালিয়াতির হোতা এ সকল প্রতারকদের প্রতিদিন খুব সকাল থেকেই কাগজ-পত্র’র ব্যাগ বোগলদাবা করে সেটেলমেন্ট অফিসের মধ্যেই ঘোরা ফেরা করে, যত্রতত্র রেকর্ডরুম খুলছে, পর্চা-নকল সহ নানা দাপ্তরিক কাগজ-পত্র’র কপি ইচ্ছেমত বিক্রি করছে। দেখলে স্বভাবিকভাবে তাদেরকে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী মনে হলেও সেটলমেন্ট কর্মকর্তা বলছেন, তারা অফিসের কেউনা। প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে বারবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগে র প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ তালা সেটেলমেন্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে ৪ প্রতারককে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা প্রদান করেন। এসময় কালো তালিকা ভুক্ত বাঘা বাঘা সব প্রতারকরা গা-ঢাকা দিলে বেশ কিছুদিন শান্ত ছিলো জাল-জালিয়াতি চক্রের কার্যক্রম। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার নির্দেশে মোহাম্মদ মহুরী, আজিজ সহ আরও কয়েক জন প্রতারককে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ প্রতারনা করবে না মর্মে মোচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চোরাই না শুনে ধর্মের কাহিনী, ঘাপটি মেরে থাকা ঐ প্রতারকচক্র আবারও মেতে উঠেছে জাল-জালিয়াতি সেটেলমেন্টে ভূয়া কেস সৃষ্টি সহ নানা কৌশলে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে এ সকল প্রতারকরা। বই-খাতার অভাবে স্কুল থেকে ঝরে পড়া কথিত মূহুরীরা এখন গাড়ী-বাড়ীর মালিক হয়েছেন। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন জানান, আমি বাংলাদেশের অনেক থানাতে গিয়েছি , কোথাও এমন দীর্ঘ সময় সেটেলমেন্ট’র কার্যক্রম চলতে দেখিনি। এখানে যত্ত প্রতারকরা অপকর্মের হাট বসিয়েছে বলে মনে হয়।