নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হককে ক্লোজড করা হয়েছে। রোববার রাতে সরকারের এক আদেশে তাকে ক্লোজড করা হয়। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন সরকারের আদেশে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একই থানার ওসি (তদন্ত) মো. মহসীন আলির ওপর। এনামুল হক ওসি হিসাবে শ্যামনগর থানায় যোগদান করেন গত বছরের ১২ মার্চ। এরপর থেকে নানা ঘটনায় তিনি আলোচিত হয়ে ওঠেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে শ্যামনগর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও) ডা. শম্পা রানীকে তার সহকর্মী ডা. আরিফুল ইষলাম পলাশের বাসা থেকে অসামাজিক কাজের অভিযোগে আটক করেন তিনি। এ সময় ওসি ডা. শম্পা ও ডা. পলাশকে আপত্তিকর অবস্থায় রেখে ছবিতে পোজ দিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাতে তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এসব নিয়ে তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। ডা. শম্পা নির্দোষ এই দাবি করে তার বাবা নগেন্দ্রনাথ সরকার এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে ২৮ আগস্ট শ্যামনগর হাসপাতালে একটি শিশু রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ডা. শম্পা ছাত্রলীগের কয়েক সদস্যের হাতে প্রহৃত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএমএর আলটিমেটামে শ্যামনগর কলেজ ছাত্রলীগের নেতা আবদুস সবুর, জয় মন্ডল ও রহমত গ্রেফতার হন। এদিকে তাকে হয়রানিমূলকভাবে আটক, ছবিতে পোজ দিতে বাধ্য করা এবং থানায় নিয়ে যাবারও প্রতিবাদ জানায় বিএমএ। এরপর বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা বিভাগীয় শাখা এবং সাতক্ষীরা জেলা বিএমএ ডা. শম্পাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আটকের নিন্দা জানায়। রোববার এ দুটি সংগঠন খুলনা ও সাতক্ষীরায় পৃথক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে শ্যামনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। এরপরই এক সরকারি আদেশে তাকে ক্লোজড করা হয়।