নিজস্ব প্রতিনিধি : জামায়াত বিএনপির পরিবারের সন্তানদের দিয়ে কলারোয়ার কেরালকাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কলারোয়ার কেরালকাতা ইউনিয়নের নাকিলা গ্রামের আব্দুর রউফের পুত্র শাহারিয়ার কবির হৃদয়।
একই সাথে তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার বড় চাচা মরহুম আব্দুল হামিদ চেয়ারম্যান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আমি কেরালকাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলাম, কাজিরহাট কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ জীবন এবং ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আপন হোসেন প্রার্থী ছিলো। এছাড়া সেক্রেটারী পদেও আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তানরা প্রার্থী ছিলো। কিন্তু কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অজানা কারানে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তানদের বাদ দিয়ে অত্র এলাকার চিহ্নিত জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সন্তানদের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে কেরালকাতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদ হাতিয়ে নেওয়ায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের পিতা হানেফ গাজী বিএনপি মতাদর্শের রাজনীতির করেন। সে যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী জামায়াত নেতা আবু তালেব সরদারের সাথে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে। যার কিছু প্রমানআমাদের কাছে রয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিএনপিরপ্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ বিভিন্ন জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে তার চলাফেরা রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হওয়া শিহাব হোসেনের পিতা আলীনুর রহমান চিহ্নিত জামায়াত পরিবারের সন্তান। তার পিতাসহ পরিবারের সদস্যরা জামায়াতের বিভিন্ন নাশকতা মুলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় অবগত হয়েও উপজেলার নেতৃবৃন্দ অজানা কারনে তাদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন। আমি সভাপতি প্রার্থী হলেও ওই কমিটিতে আমাকে সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনীতি লালন করি। কোনভাবেই ওই জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সন্তানদের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এবিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে আমি জামায়াত-বিএনপির পরিবারের সন্তানদের নেতৃত্বাধীন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি হতে স্বেচ্ছায় পদ ত্যাগ করছি। সাথে সাথে তিনি এবিষয়টি তদন্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।